২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নিউইয়র্কে সুপারমার্কেটে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত দশ

ডেস্ক রিপোর্ট , প্রকাশিত হয়েছে-

আমেরিকার নিউইয়র্ক রাজ্যে এক সুপারমার্কেটে একজন বন্দুকধারীর হামলায় দশ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আঠারো বছর বয়সী একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও তার নাম প্রকাশ করা হয়নি।

শনিবার বিকেলে ওইা ব্যক্তি বাফেলো শহরের একটি ব্যস্ত সুপারমার্কেটে ঢুকে পড়ে গুলি চালাতে শুরু করে। মোট তের ব্যক্তিকে সে গুলি করে। এর অধিকাংশই ছিল কৃষ্ণাঙ্গ।

এদের মধ্যে তিনজন গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির আর প্রাণনাশের ঝুঁকি নেই।

পুলিশ বলছে, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচারের জন্য সে একটি ক্যামেরাও ব্যবহার করছিল।

এফবিআইয়ের বর্ণনায় এই হামলাটি ছিল একটি ‘সহিংস চরমপন্থার’ ঘটনা। এফবিআইয়ের এজেন্ট স্টিফেন বেলঙ্গিয়া বলেছেন, এটি হেইট ক্রাইম এবং বর্ণবাদে উদ্বুদ্ধ সহিংস চরমপন্থা কি না – দুটো দিকই তদন্ত করে দেখছি আমরা।

ওই সন্দেহভাজন কয়েক ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত বাফেলো শহরে আসে।

ওই সুপারমার্কেটের নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা, তিনি সন্দেহভাজনকে গুলি করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনিও নিহত হন।

পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন একটি উচ্চ ক্ষমতার রাইফেল বহন করছিল। তার গায়ে ছিল বডি আর্মার, মাথায় ছিল হেলমেট।

আটক হওয়ার আগে পুলিশের সাথে মুখোমুখি অবস্থানে চলে যায় সন্দেহভাজন, যা টানটান উত্তেজনার সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে সে আত্মসমর্পণ করে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে একজন স্থানীয় পুলিশের সূত্র বলেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তিটি হামলা চালানোর সময় উচ্চস্বরে বর্ণবাদী গালিগালাজ করছিল।

হামলার পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের বর্ণনা করতে গিয়ে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বাফেলো নিউজকে বলেন, এটা ছিল একটি হরর সিনেমার সেটের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার মত, কিন্তু সবই বাস্তব। এটা ছিল একটা যুদ্ধক্ষেত্রের মত।

নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হকুল এই ঘটনাটিকে “ঘৃণ্য এক সহিংসতা” বলে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন তিনি বাফেলোতে যাচ্ছেন।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে।

হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি নিহত ও তাদের স্বজনদের জন্য প্রার্থনা করছেন।