২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

আমতলীতে গ্রাম ও শহরে লোডশেডিং

হায়াতুজ্জামান মিরাজ,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি। , প্রকাশিত হয়েছে-

 

নিয়মিত লোডশেডিং এর কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন শতভাগ বিদ্যুৎতের আওয়াত আসা বরগুনার আমতলী পৌর এলাকার বাসিন্দাসহ গ্রামাঞ্চলে বসবাসরত পল্লীবিদ্যুৎতের গ্রাহকরা।

পৌর এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত ১৫ দিন ধরে লোডশেডিং যেন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রচন্ড গরমের মধ্যে প্রতিদিনই গড়ে ৭ থেকে ৮ বার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করে।

আমতলী পৌর শহরের চরপাড়ার বাসিন্দা নুরুজ্জামান প্রিন্স হাওলাদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমতলীসহ সারাদেশকে শতভাগ বিদ্যুৎ-সুবিধা নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। রমজানে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে পৌর শহরে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করলেও গত ১৫ দিন ধরে কেন যে ঘন ঘন লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে তা বুঝতে পারছিনা।

পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোয়াজ্জেম হোসেন ফরহাদ বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে পৌর এলাকায় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। সময়মতো পানি না পাওয়ায় পৌরবাসীরা ভোগান্তিতে পড়েছে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরাঞ্চলে বসবাসকারী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের গ্রাহকদের দুর্ভোগ অনেকাংশেই বেশি। প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১২ বার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করে। এমনকি রাতেও লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মঈনুল ইসলাম রাজু জানান, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারনে গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। রাতে ঘন্টর পর ঘন্টা লোডশেডিংয়ের কারনে তীব্র গরমের মধ্যে মানুষ ঘুমাতে পর্যন্ত পারছেন না।

পল্লীবিদ্যুৎ আমতলী জোনাল অফিসের এজিএম মোঃ মোশারেফ হোসেন নান্নু মুঠোফোনে বলেন, বিদ্যুৎ সরবারাহ লাইনে সমস্যা থাকার কারনে লোডশেডিং হচ্ছে। লাইনের সমস্যাগুলো সমাধান হলে আর লোডশেডিং থাকবেনা। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং বেশী হওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি আরো বলেন, আশা করি দ্রুত এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।