আজ পি কে হালদারকে দেশে ফেরাতে রুল শুনানি


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় : মে ১৭, ২০২২, ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ / Print This Post Print This Post
আজ পি কে হালদারকে দেশে ফেরাতে রুল শুনানি

 

রাষ্ট্রপক্ষ এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চাঞ্চল্যকর হাজার কোটি টাকা লোপাট মামলার মূল অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) গ্রেপ্তার ও দেশে ফিরিয়ে আনতে জারি করা রুলের শুনানির উদ্যোগ নিয়েছে ।

আজ (১৭ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য রুলটি ২২ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

এদিকে, সোমবার (১৬ মে) এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারকে ভারতে গ্রেফতার হওয়ার তথ্য আদালতকে জানান রাষ্ট্রপক্ষ।

এদিন রাষ্ট্রপক্ষ এ সংক্রান্ত রুল শুনানির জন্য উপস্থানের পর রুলটি আজ (মঙ্গলবার) শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চে কার্যতালিকায় (কজলিস্টে) রয়েছে।

সোমবার (১৬ মে) সকালে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেন। এসময় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খানও ছিলেন।

এক পর্যায়ে আদালত বলেন, ‘আমাদের মেসেজ ক্লিয়ার। দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অপরাধের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, সে যে–ই হোক। আমরা এ ব্যাপারে সিরিয়াস।’

২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে রুল জারি করে আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।

রুলে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার ও দেশে ফিরিয়ে আনতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং এক্ষেত্রে দায়ী ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।

এদিকে গত ১৪ মে ভারতের গণমাধ্যমের খবরে পি কে হালদারের গ্রেপ্তার হওয়ার কথা জানানো হয়। এ বিষয়ে সোমবার (১৬ মে) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার পি কে হালদার সম্পর্কে দেশটির সরকার এখনও কোনো তথ্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায়নি।

ভারতের সংবাদমাধ্যম সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতে তুলে হালদারকে রিমান্ডের আবেদন করা হলে তা মঞ্জুর করা হয়। তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। তাকে গ্রেপ্তারের পর এক বিবৃতিতে ইডি বলেছে, হাজার কোটি টাকা পাচারকারী পি কে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে বসবাস করতেন। প্রদেশের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।


আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১