১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

স্ত্রীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে স্বামীর আকুতি

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ , প্রকাশিত হয়েছে-

 

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে নির্যাতনের খবর পাওয়া গেছে। স্ত্রীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে স্বামী মো. কাওসার হোসেনের আকুতি সবার কাছে।

মো. কাওসার হোসেন হচ্ছেন রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের নিচকাটা গ্রামের মো. সৈয়দ হাওলাদারের ছেলে। কাওসার হোসেনের স্ত্রী পারভীন বেগম হচ্ছেন পাশর্^বর্তী গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কালিরচর গ্রামের আ. রহিম খানের বড় মেয়ে। তাদের বিবাহিত দাম্পত্য জীবন প্রায় ২০ বছর। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। এক সন্তান দশম শ্রেণি ও অপর সন্তান তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্যের কারণে তাদের মাঝে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। যার ফলে দুজন আলাদা অবস্থান করতে শুরু করেন।

এ বিষয়ে কাওসার হোসেন আরো বলেন, আমি একটি মসজিদে ইমামতি করি। স্ত্রী সন্তান নিয়ে সুখেই ছিলাম। কিন্তু আমার শশুর-শাশুড়ীর পরামর্শে আমার স্ত্রী প্রায়ই আমার সাথে ঝগড়া করত। আমার সন্তানদেরকে আমার বাড়িতে আসতে দেয়না। আমার স্ত্রীকে আমার বিরুদ্ধে খেপিয়ে তাকে দিয়ে আমাকে বিভিন্ন নির্যাতন করত। আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে আমার গ্রামের বাড়ি থাকতে চাইলেও আমার স্ত্রী আমার বাড়িতে যেতে চায় না। আমার বৃদ্ধ মায়ের কাছে সে থাকতে পারবে না বলে জানায়। এমনকি নামে বেনামে আমার স্ত্রী বিভিন্নভাবে মামলা করে আমাকে ফাঁসানোর কূ-মতলব করছে।

তিনি বলেন, বউয়ের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমি থানায় অভিযোগ করার পরিকল্পনা করছি। যেকোন সময় আমার শ^শুর বাড়ির লোকজন মারধর করতে পারে। এ বিষয়ে স্ত্রী পারভীন বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্বামী একজন দস্যু। সে আমাকে মারধর করে। আমি আমার স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে পটুয়াখালী বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মামলা করি। নারী ও শিশু মামলা নং- ৪৮৯/২০২১। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সুহরী ব্রিজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ঘটনা যাচাই বাছাই করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।