ভূমিদস্যুদের ষড়যন্ত্রেই সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়েছিল


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় : মে ১৮, ২০২২, ৫:২৮ অপরাহ্ণ / Print This Post Print This Post
ভূমিদস্যুদের ষড়যন্ত্রেই সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়েছিল

পটুয়াখালী: বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক মনোনীত প্রার্থী জননেতা আলহাজ্ব মো. মাহবুবুর রহমান ১১৪ পটুয়াখালী-৪ আসন থেকে ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন।

তাঁর নির্বাচনী এলাকা কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র ও তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রায় অবস্থিত বিধায় জমির মূল্য বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি জমি অবৈধভাবে দখল বা অনুপ্রবেশ করার জন্য ভূমিদস্যুরা কয়েক বছর ধরে অপচেষ্টা করে আসছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মো. মাহবুবুর রহমান তৎকালীন ভূমিদস্যুতা নিরসনে অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। কুয়াকাটা জমিজমা ক্রয়-বিক্রয় ও দখল বানিজ্য বন্ধ করে দেন। ফলে তখনকার ভূমিদস্যুরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অনেকেই তাঁর উপর নানাবিধ চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী এলাকার জনগণের সকল দুঃখ দুর্দশায় সর্বদা পাশে থেকেছেন এবং অনেক উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন করেছেন। তাঁর সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও বর্তমান জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে উল্লিখিত চক্রসহ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা জনগণের কাছে এবং দলকে হেয় প্রতিপন্ন করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভুল তথ্য সংবলিত বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এমন সংবাদ প্রকাশের চক্রান্ত করছে নৌকা কান্ডারী সাবেক এ প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ষড়যন্ত্র বা চক্রান্তের সাথে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র জড়িত রয়েছে বলে নৌকা প্রিয় জনগণের ধারণা। উদাহরণস্বরূপ; ভুল তথ্য সংবলিত সংবাদের কথা উল্লেখ করতে হয়- হলফনামায় স্পষ্টভাবে কৃষি জমির পরিমাণ ২৮ একর ৬৫ সতাংশ উল্লেখ রয়েছে, যেখানে মূল্যের পরিমাণ লেখা রয়েছে ৭০ লাখ ১৪ হাজার ৪৪০ টাকা, প্রতি একরের দাম পড়ে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩২ টাকা। কিন্তু জমির পরিমাণ ষড়যন্ত্রকারীদের সংবাদে প্রকাশিত ২ হাজার ৮৬৫ একর। যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও গভীর ষড়যন্ত্র। এত পরিমাণ জমির বাজার মূল্য ৭০ কোটি ১৪ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। প্রতিবেদকের হিসাবে জমির প্রতি একরের দাম ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪৪৮ টাকা যা অত্যন্ত হাস্যকর ও অবান্তর।

এলাকার স্বার্থ বিরোধী ভূমিদস্যুদের হাত থেকে জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে ভূমিদস্যুরা সাবেক এ প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। ভূমিদস্যু ও দালালদের ষড়যন্ত্রে দুদকে মামলা হয়। যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সম্পূর্ণ বিষয়টি অবগত আছেন। কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলার সকল স্তরের জনগণ স্বাক্ষী আছেন, সত্যিকার অর্থে সাবেক প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অত্র উল্লিখিত নির্বাচনী এলাকায় দুদকের মামলা সংক্রান্ত কোন অভিযোগ জনগণের নিকট থেকে পাওয়া যায়নি বা আইনে প্রমাণিত হয়নি। ষড়যন্ত্র করে দুদকের মামলার কারণে পিছিয়ে যায় উন্নয়নের ধারা এবং চক্রান্তকারীর চক্রান্তে সর্বোপরি ক্ষতি হয় সাধারণ জনগণের। সাবেক এমপি মাহবুবুর রহমান দলের দুর্দিনে জীবন ও যৌবন দিয়ে কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলা এবং মহিপুর থানার আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছেন। দলের স্বার্থে কাজ করতে নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে তৃনমুল পর্যায়ে পর্যন্ত দলকে শক্তিশালী করা সহ আওয়ামী লীগের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে জনগণের সর্বোচ্চ ভোটে তিন তিন বারের এমপি নির্বাচিত হয় এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। যিঁনি দক্ষিণ অঞ্চলের রাস্তা-ঘাট ব্রীজ ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ বহু বেকার ছেলে-মেয়েদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। যাঁর নিকট কোন ধরণের চাঁদাবাজি সন্ত্রাসীর স্থান ছিল না, যিঁনি একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি, বিনা টাকায় বা বিনা স্বার্থে বহু বেকার মানুষের চাকরি দিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অবস্থা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাই ম্যান বাদ দিয়ে জনপ্রিয় ভালো ব্যক্তি ছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেতা অসম্ভব। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা সাবেক প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল অপপ্রচার করছেন, এতে শুধু ব্যক্তির সম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে না, আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ সাবেক প্রতিমন্ত্রী কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী থেকে বার বার নির্বাচিত এমপি আপনাদেরই সন্তান।তিনি দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছেন মানুষের সেবায় নিয়জিত ছিলেন। তিঁনি স্বপ্ন দেখেছেন মানুষের আত্মনির্ভরশীলতা নিয়ে, সপ্ন দেখেছেন অবহেলিত দক্ষিণ অঞ্চলের উন্নয়ন নিয়ে, সকল ক্ষেত্রে অগণিত উন্নয়নও করেছেন। কাজ করতে গেলে ভুল হতে পারে এজন্য মিথ্যে সংবাদ প্রচার করে নৌকা প্রিয় জনতাকে বিব্রত করা অন্যায়। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মো. মাহবুবুর রহমান যে অভাবনীয় উন্নয়ন করেছেন সবাই ভালোভাবে অবগত আছেন এবং আমরা সবাই এর সুফলও ভোগ করি। ২/১ জন অতিউৎসাহী মানুষ কারো প্ররোচনায় বশিভূত হয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থে দলের এবং দলের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের ভাবমূর্তি নিয়ে অপপ্রচার করছে। অপপ্রচার করে জনপ্রিয়তা নষ্ট করা যায় না, বরং দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা যায়। ভালোমন্দবোধ সকল জনগণের আছে। অত্র দক্ষিণ অঞ্চল আধুনিকায়ন সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মো. মাহবুবুর রহমানের হাত ধরেই হয়েছে এটাই বাস্তব, যাহা অস্বীকার করা অসম্ভব। আওয়ামী লীগের একজন জনপ্রিয় অভিভাবক কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বার বার নির্বাচিত সভাপতি তাঁর সম্মান নষ্ট করা মানে দলকে ছোট করা। দল কারো একার নয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নৌকা প্রিয় মানুষ নিয়ে বা জনপ্রিয় ব্যক্তি নিয়ে এসব অপপ্রচার বন্ধ না করলে দলের খেসারত গুনতে হবে। জনগণের কাছে অবিসংবাদিত নেতা বিধায় শেখ হাসিনার নির্দেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছেন। সাবেক প্রতিমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জনগণের পাশে রয়েছেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট দক্ষিণ অঞ্চলের জনগণের একটাই মাত্র দাবি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আকাশচুম্বী জনপ্রিয় (জনগণের আস্থা ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা) ব্যক্তি হিসেবে আলহাজ্ব মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদারকে নমিনেশন দিয়ে অত্র অঞ্চলের উন্নয়নের ধারা সচল করবার বিনীতভাবে অনুরোধ এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছেন।

নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক এবং গণতন্ত্রের প্রতীক। চলমান অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে যুদ্ধাপরাধী ও মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিরোধী, মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক চেতনা বিরোধী, হাইব্রিড সুবিধবাদী জোটের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।।

 


আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১