২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

৬৫ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞায় মৎস্যজীবিদের উদ্বেগ : মৎস্য অবরোধ শুরু আগামীকাল

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি , প্রকাশিত হয়েছে-

শরণখোলা : মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার কারণে সমুদ্রগামী ফিশিংবোটবহর ঘাটে নোঙ্গর করে আছে। বৃহস্পতিবার সকালে শরণখোলার রাজৈর মৎস্য ঘাট থেকে তোলা ছবি।

মৎস্য সম্পদ রক্ষায় বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিনের মৎস্য অবরোধ শুরু হচ্ছে আগামীকাল (২০ মে) থেকে। ৬৫ দিন মাছধরা বন্ধের ঘোষণায় জেলে ও মৎস্যজীবিদের মাঝে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগর ও সমুদ্র উপকূলীয় নদনদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে মৎস্য অধিদপ্তর।

বাংলাদেশ ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সহসভাপতি ও শরণখোলার মৎস্য ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম খোকন বলেন, মৎস্য আহরণের মুল সময়টায় সরকার সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় উপকূলের হাজার জেলে ও মৎস্যজীবি অর্থসংকটে পড়বেন। জেলেদের জন্য চাল বরাদ্দের কথা বলা হলেও অধিকাংশ জেলে চাল সহায়তা পায়না। মাসে শুধুমাত্র ৪০ কেজি চাল দিয়ে একজন জেলের সংসার কিভাবে চলে। তাছাড়া এদেশীয় জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে না পারলেও ভারতীয় জেলেরা ঠিকই মাছ ধরে নিয়ে যাবে বলে সাইফুল ইসলাম খোকন জানান।

বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ৬৫দিনের অবরোধ ঘোষণায় বরগুনা উপকূলের প্রায় ২০ হাজার জেলে বেকার হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে খাদ্য সংকটে পড়বেন। ভারত এবং বাংলাদেশ একই সময়ে সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিলে এদেশীয় জেলে ও মৎস্যজীবিদের উপকার হতো এবং সাগরে মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধি পেতো।
সাউথখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন বলেন, তার ইউনিয়নে সমুদ্রগামী ১৪৪০জন তালিকাভূক্ত জেলের মধ্যে চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে ১১০ জনের।

শরণখোলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার বিনয় কুমার রায় বলেন, এ উপজেলার তালিকাভূক্ত চার হাজার সমুদ্রগামী জেলের বিপরীতে ৩৭৪ জনের চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। একজন জেলে ৬৫দিনে ৮৬ কেজি করে চাল পাবেন বলে মৎস্য অফিসার জানান।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য অফিসার এ এস এম রাসেল বলেন, দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও উৎপাদন বাড়ানোর জন্য মৎস্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগর ও সমুদ্র উপকূলের নদনদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে। এই সময়ে কেউ যাতে মাছ ধরতে না পারে সে লক্ষ্যে মৎস্য বিভাগ, কোষ্টগার্ড ও নৌবাহিনী সাগর নদীতে টহল কার্যক্রম চালাবে। এছাড়া বাংলাদেশ ও ভারত একই সময়ে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ, ভারত ও মায়ানমারের সাথে চিঠি চালাচালি চলছে বলে জেলা মৎস্য অফিসার জানিয়েছেন।