২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ || ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

বানারীপাড়া হাসপাতাল থেকে মৃত ঘোষিত শিশু দাফনের প্রস্তুতিকালে নড়ে ওঠায় বিক্ষোভ

রাহাদ সুমন,বিশেষ প্রতিনিধি॥ , প্রকাশিত হয়েছে-

 

 

বরিশাল: বানারীপাড়ায় পুকুরের পানিতে পরে যাওয়া শিশুকে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করার পরে দাফনের প্রস্তুতিকালে নড়ে ওঠায় পুনরায় হাসপাতালে এনে বিক্ষোভ করেছে স্বজনেরা।

জানা গেছে,উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের আহম্মদাবাদ বেতাল গ্রামের রাজ মিস্ত্রি মো. সুমনের দুই বছরের শিশু সাইমুন ২০ মে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির উঠানের পাশে পুকুর পাড়ে খেলার ছলে পানিতে পরে যায়। ওই সময় শিশুটির মা উঠানে ধান সিদ্ধ করছিলেন। তাৎক্ষনিক শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় পুকুর থেকে তুলে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুব্রতদেব পাল সকাল ১০টা ৫ মিনিটে মৃত ঘোষণা করেন। স্বজন ও এলাকাবাসী জানান, পরে বাড়িতে নিয়ে দাফন করার জন্য প্রস্তুতি নিলে হঠাৎ শিশুটি নড়েচড়ে ওঠে এবং হিচকে দিয়ে তার মুখ থেকে পানি গড়িয়ে পরে। যা তার মা- বাবা সহ স্থানীয়রা দেখতে পান। ফলে পুনরায় শিশুটিকে নিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসেন এবং চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করেন।

এসময় বিক্ষুদ্ধ জনতা লাঠিসোটা নিয়ে বিক্ষোভ করে চিকিৎসকের বিচার দাবি করেন। খবর পেয়ে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের শান্ত করেন। এদিকে দ্বিতীয় দফা চেষ্টার পরেও শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে কর্মরত ডা. সুব্রতদেব পাল দাবি করেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তারপরেও অক্সিজেন দেওয়া ও ইসিজি করাসহ সবধরণের চেষ্টা করা হয়েছে। দ্বিতীয়বার নিয়ে আসার পরেও পুনরায় অক্সিজেন দেওয়া ও ইসিজি করাসহ সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন,হাসপাতালে বিক্ষোভের কথা জেনে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তাৎক্ষনিক গিয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে শিশুটির স্বজনসহ বিক্ষুদ্ধ জনতাকে শান্ত করা হয়।