২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ব্যক্তিমালিকানায় ৬০ বিঘার বেশি জমি হলে বাজেয়াপ্ত

ডেস্ক রিপোর্ট , প্রকাশিত হয়েছে-
ব্যক্তি ও পরিবার পর্যায়ে ৬০ বিঘার বেশি জমি অর্জন না করার বিধান রেখে ভূমি সংস্কার আইন-২০২২ প্রণয়ন করা হচ্ছে। দেশের কোনো ব্যক্তি বা পরিবার এর বেশি জমির মালিক হলে অতিরিক্ত জমি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হবে। বিশেষায়িত শিল্প, জনকল্যাণমুখী কার্যক্রমসহ বিশেষ ক্ষেত্রে ৬০ বিঘার বেশি জমি অর্জনের বিধান রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন,তিনি বলেন, ব্যক্তিমালিকানায় জমি ৬০ বিঘার বেশি হলে সরকার ওটা সিজ (বাজেয়াপ্ত) করে নিয়ে যাবে। 
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন- ২০২২’ এবং ‘ভূমি সংস্কার আইন- ২০২২’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।
ভূমি সংস্কার আইন প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ভূমি সংস্কার আইন এটা ১৯৮৪ সালের একটি অর্ডিন্যান্স ছিল, সেটাকে ভূমি সংস্কার আইন হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে। যেমন ভূমি সংস্কার আইনে কৃষি জমি ৬০ বিঘা, কিন্তু এ আইনে বলা হয়েছে যদি রপ্তানিমূলক কৃষিপণ্য বা অন্য কোনো প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প হয় তবে সেক্ষেত্রে এই ৬০ বিঘা প্রযোজ্য হবে না। তিনি বলেন, ব্যক্তিমালিকানায় ৬০ বিঘার বেশি নিতে পারবে না। ২৫ বিঘা পর্যন্ত খাজনা মাফ। আর ম্যাক্সিমাম রাখতে পারবে একজন ৬০ বিঘা। কিন্তু সে যদি কোন ইন্ডাস্ট্রি করে কৃষি পণ্যের যেটা রপ্তানিমুখী তাইলে সেক্ষেত্রে এই ৬০ বিঘার সিলিং তার জন্য প্রযোজ্য নয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ৬০ বিঘার বেশি হলে ওটা সিজ করে নিয়ে যাবে। ধরেন কারো ২০০ বিঘা জমি ছিল তখন সে তাড়াতাড়ি ছেলেরে মিউটেশন করে দিছে, মেয়েকে মিউটেশন করে দিছে। সে নিজে ৬০ বিঘার নিচে রাখছে। ৬০ বিঘার চেয়ে বেশি সিলিং রাখতে পারবে না। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আগের একটি অধ্যাদেশকে পরিমার্জন করে নতুন আইন করা হচ্ছে। নতুন আইন পাস হলে কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তি ও পরিবারভিত্তিক কৃষিজমির পরিমাণ ৮ দশমিক ২৫ একর বা ২৫ বিঘা পর্যন্ত ট্যাক্স দিতে হবে না। টানা ৩ বছর কর না দিলে ৬.২ শতাংশ হারে জরিমানা দিতে হবে। ধর্মীয় উপসনালয়ের ক্ষেত্রে কর দিতে হবে না।
হাটবাজার স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, সরকারের অনুমোদন ছাড়া কোনো হাটবাজার বসানো যাবে না। সেক্ষেত্রে স্থায়ী হাটবাজারের জন্য জেলা প্রশাসকের অনুমতি লাগবে। কেউ যদি সরকারের অনুমতি ছাড়া হাটবাজার বসায় তাহলে সেটা খাস জমি হিসেবে নিয়ে নিবে এবং ৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।