২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৩ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

আমতলীতে গাছের পানি তাল পাড়াকে কেন্দ্র করে ভাতিজা দা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে চাচাকে

হায়াতুজ্জামান মিরাজ,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি। , প্রকাশিত হয়েছে-

 

 

বরগুনা: আমতলীতে গাছ থেকে পানি তাল পাড়াকে কেন্দ্র করে ভাতিজা সাইদুল শিকদার (২২) কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে ছোট চাচা সুলতান শিকদারকে (৪৫)। ঘটনাটি ঘটেছে আজ শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর টেপুরা গ্রামে। আহত চাচার অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর টেপুরা গ্রামের মৃত্যু জয়নাল শিকদারের পুত্র সুলতান শিকদারের ভাগের একটি তালগাছের পানি তাল তার আপন বড় ভাই বাবুল শিকদার জনৈক এক ব্যক্তির কাছে গোপনে বিক্রি করেন। আজ দুপুরে ওই তালগাছের পানি তাল বাবুল শিকদারের পুত্র সাইফুল শিকদার জোর করে পাড়তে যায়। ওই তালগাছ চাচা সুলতান শিকদার তার ভাগের বলে দাবী করে গাছ থেকে পানি তাল পাড়তে নিষেধ করেন। ওই নিষেধ অমান্য করে ভাতিজা সাইফুল গাছ থেকে জোরপূর্বক তাল পাড়তে গেলে চাচা ভাতিজার মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়ার সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে সেখানে চাচা সুলতান শিকদারের বড় ভাই সাইফুলের পিতা বাবুল শিকদার, মা মিনারা বেগম, দুই বোন লাকি ও সাবিনা সেখানে উপস্থিত হন।

এসময় হঠাৎ করে ভাতিজা সাইফুল তার হাতে থাকা দাঁড়ালো দা দিয়ে চাচা সুলতান শিকদারকে মাথায় কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। চাচা সুলতান শিকদারের ডাক চিৎকারে তার স্বজনরা এগিয়ে আসলে ভাতিজা সাইফুলসহ অন্যারা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরে স্বজনরা আহত সুলতান শিকদারকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। বেহুস অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পরে একাধিকবার বমি করায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মার্জিয়া তাজিন তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ মার্জিয়া তাজিন বলেন, রোগীর মাথায় দাঁড়ালো অস্ত্রের আঘাত ও শরীরের বিভিন্নস্থানে ফুলা জখমের চিহ্ন রয়েছে। রোগীর অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় দ্রুত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

আহত চাচা সুলতান শিকদারের স্ত্রী লাইলী বেগম মুঠোফোনে বলেন, আমাদের ভাগের একটি তাল গাছের পানি তাল গোপনে অন্যাত্র বিক্রি করেন আমার বড় ভাসুর বাবুল শিকদার। আজ দুপুরে জোর করে গাছ থেকে ওই পানি তাল পারতে গেলে আমার স্বামী বাঁধা দেয়। এতে আমার স্বামীকে ভাসুর পুত্র সাইদুল শিকদার তার পিতার সামনে বসেই দাঁড়ালো দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেছে। এর আগেও একবার আমার স্বামীকে পিটিয়ে আহত করেছিলো। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ভাতিজা সাইফুল শিকদারের ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।

আমতলী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে সত্যতা পেলে পরবর্তি আইনী ব্যবস্থা নিবো।