১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

তিন মাস ধরে বেতন ভাতা পাচ্ছে না তালতলী হাসপাতালের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা -কর্মচারীরা

হায়াতুজ্জামান মিরাজ,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি। , প্রকাশিত হয়েছে-

 

 

বরগুনা: কোড জটিলতায় কারনে বরগুনার তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ৩ মাস ধরে বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। দীর্ঘদিন ধরে বেতন ভাতা বন্ধ থাকায় অনেক কর্মচারীরা চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পাশ্ববর্তি উপজেলা আমতলীর সাব সেন্টার নামে পরিচিত তালতলী উপজেলার ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটিকে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ৩১ শয্যার পূর্নাঙ্গ হাসাপাতাল হিসেবে ঘোষনা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রানালয়। ঘোষনার পর চলতি বছর জানুয়ারি মাসে ১ জন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও ফেব্রুয়ারি মাসে ১৩ জন চিকিৎসক ৯ জন নার্স, ১০ জন স্বাস্থ্য সহকারী ও ৭জন কর্মচারী ও ১৩ জন সিএইচসিপি পদায়ন করে কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে স্বস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ৫৩ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছে। হাসপাতালটি চালু হলেও এর নামে অর্থমন্ত্রণায়ের অধীন ইন্টগ্রেটেড বাজেট একাউন্টিং সিস্টেম (আইপাস) থেকে তালতলী হাসপাতালের নামে একটি কোড নম্বর চালু করার কথা থাকলেও ৫ মাস অতিবাহিত হলেও ওই বিভাগ থেকে কোন কোড নম্বর চালু না করায় ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বেতন ভাতা ও ঈদুল ফিতরের বোনাস পাননি হাসপাতালের কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী। দীর্ঘ তিন মাস ধরে বেতন ভাতা না পাওয়ায় অনেক কর্মচারী মানবেতর ভাবে জীবন কাটাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুসলমান কর্মচারী বলেন, বেতন এবং ঈদ বোনাস না পাওয়ার কারনে ঈদ কেটেছে নিরানন্দভাবে। ঈদের সময় পরিবার ও সন্তানদের নতুন পোশাকসহ কোন কিছু কিনে দিতে পারিনি। এটা ছিল আমাদের কাছে অনেক বেদনার।

আমতলী উপজেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা আবু সালেহ জানান, তালতলী উপজেলায় এখনো কোন হিসাব রক্ষন অফিস চালু হয়নি। তাই আমতলী হিসাব রক্ষন অফিসের মাধ্যমে তালতলী উপজেলার সকল বেতন ভাতা প্রদান করা হয়। তবে তালতলীতে নতুন ঘোষনা করা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নামে আইপাস থেকে কোন কোড নাম্বর প্রদান না করায় হাসপাতালের কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা গত তিন মাস ধরে বেতন ভাতা পাননি। এ বিষয়ে দ্রুত যাতে অতিরিক্ত পাসওয়ার্ড এবং কোড নাম্বর পাওয়া যায় এজন্য সকল ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাকিলা আক্তার বলেন, নতুন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু হওয়ায় কোড নম্বর না থাকায় আমরা ৩ মাস ধরে বেতন ভাতা এবং ঈদ বোনাস পাইনি। আমি নিজে পাইনি চার মাস। তালতলী নতুন হাসপাতালের নামে যাতে দ্রুত কোড নাম্বার পরে সেজন্য আমার উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি। আশা করি কোড নাম্বার পরলে দ্রুত আমরা বেতন ভাতা এবং বোনাস পেয়ে যাবো।

বরগুনার জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ ফজলুল হক মুঠোফোনে, তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নামে নতুন কোড নাম্বার ও বেতন বোনাস পাওয়ার জন্য সকল কাগজপত্র অর্থ মন্ত্রনালয়, ডিজি ফাইন্যান্স এবং আইপাস এ পাঠানো হয়েছে। আশাকরি দ্রুত পাওয়া যাবে। #