২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ফকিরহাটে মোবাইল কোর্টের অভিযানে আড়াই লক্ষ টাকা জরিমানা, ৩১ মন চিংড়িমাছ জব্দ

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : , প্রকাশিত হয়েছে-

বাগেরহাট: ফকিরহাট উপজেলায় অবস্থিত দক্ষিণ বাংলার সবচেয়ে বড় মাছের বাজারে মোবাইল কোর্টের অভিযানে ৯টি মামলায় আড়াই লক্ষ টাকা জরিমানা, ৪ জনের বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও প্রায় ৩১ মন (১২৫০ কেজি) পুশকৃত চিংড়িমাছ জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার (০১ আগষ্ট) দুপুর থেকে এ অভিযান শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জব্দকৃত চিংড়িমাছ ধ্বংস করার কাজ অব্যহত আছে। উপজেলা মৎস্য অফিসের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনোয়ার হোসেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ফকিরহাট ফলতিতা বাজারে বিভিন্ন মাছ ব্যবসায়ী অতিক্তি মুনফার আশায় অনৈতিকভাবে চিংড়িমাছে ক্ষতিকর হাইড্রোজ জেলি পুশ করে আসছে মৎস্য অফিসের এমন সংবাদের ভিত্তিতে মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্টের অভিযানের সময় ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ৪ জনের বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও জরিমানা করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে মাছে ক্ষতিকর জেলি পুশের অপরাধে মো. জাফর মোড়লকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১ বছর বিনাশ্রম কারাদÐ, শ্রী বৈজয়ন্তকে ১ লক্ষ টাকা ও ১ বছর কারাদণ্ড, সৈয়দ আশিকুর রহমানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, দেবদাশ মন্ডলকে ১ মাসের কারাদণ্ড, সৈয়দ তৌফিকুর রহমানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, মোহাম্মদ হৃদয় বিশ্বাসকে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া সদানন্দ বিশ্বাস, নিমাই চন্দ্র ও সেহাস বিশ্বাসকে সতর্ক করে অব্যহতি প্রদান করা হয়।

অভিযানে ১এক হাজার ২শত ৫০ কেজি পুশকৃত চিংড়িমাছ, ২ ড্রাম হাইড্রোজ জেলি, ২ বক্স হাইড্রোজ পাউডার, পুশের জন্য ৮টি সিরিঞ্জ, জেলি মিশ্রিত ২টি হাড়ি ও ২টি ওজন মাপার যন্ত্র জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ফকিরহাট মৎস্য অফিসের উপজেলা জেষ্ঠ্য মৎস্য কর্মকর্তা জ্যোতিকণা দাশ বলেন, ক্ষতিকর জেলি পুশকৃত মাছ ধ্বংস করা হচ্ছে। এ মাছ খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরণের মারাত্মক রোগ হতে পারে।

ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, অসাধূ ব্যবসায়ী ও মাছচাষীদের দ্বারা চিংড়ি মাছে ক্ষতিকর জেলি পুশের কারণে বিদেশে বাংলাদের মাছের ব্যবসায়ীক ক্ষতি হয়। এতে বৈদেশিক আয় হ্রাসের পাশাপাশি দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়। জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যহত থাকবে।