২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

একটি জাত ও চারটি কৃষি প্রযুক্তি হস্তান্তর করা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক , প্রকাশিত হয়েছে-

 

বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিজেআরআই) উদ্ভাবিত একটি জাত ও চারটি কৃষি প্রযুক্তি হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিজেআরআইয়ের সম্মেলন কক্ষে কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায়ে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার।

এসময় বিজেআরআইয়ের কৃষি গবেষণা উইং কর্তৃক ২০২১-২২ অর্থবছরে বিজেআরআই মেস্তা ৪ এবং দেশি পাট বীজের নির্যাস দিয়ে পাটের হলুদ মাকড় দমন, উন্নত শস্য বিন্যাস বোরো-পাট-রোপা আমন; বোরো/পাট-রোপা আমন; বোরো-রোপা পাট-রোপা আমন চাষ প্রযুক্তি, বিজেআরআই তোষা পাট-৮ (রবি-১) এর বীজ উৎপাদন প্রযুক্তি এবং স্পেন্ট টি (ব্যবহৃত চা পাতি) দ্বারা পাটের হলুদ মাকড় দমন প্রযুক্তি হস্তান্তর করা হয়।

এসময় ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলোকে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় সরিষার উৎপাদন বাড়াতে সরিষার জমির পরিমাণ ৬ লাখ হেক্টর থেকে ৮ লাখ ১৭ হাজার হেক্টর বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। পাটের প্রযুক্তিগুলো যদি সত্যিকার অর্থে মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায় তবে পাটের উৎপাদনের ক্ষেত্রে একইভাবে পাটের উৎপাদিত জমি বাড়বে।

তিনি পাটের ভ্যারাইটি, প্রোডাক্টস্ এবং টেকনোলজি বাড়ানোর জন্য যা দরকার তা করার জন্য বিজেআরআইয়ের বিজ্ঞানীদের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজেআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল আউয়াল। তিনি পাটকে গিফট এবং পার্টনার প্রকল্প গণ্য করে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ ও পিএইচডিতে মনোনয়েনের জন্য বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পাটকে কৃষিপণ্য হিসাবে ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশ থেকে গতবছর ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আগামীতে রপ্তানি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এ লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে টেকনোলজি নিয়ে কাজ করার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

SK24/SMK/DESK