১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গলাচিপায় যথাযোগ্য মর্যাদায় হলি উৎসব উদযাপিত

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি , প্রকাশিত হয়েছে-

 

পটুয়াখালীর গলাচিপায় যথাযোগ্য মর্যাদায় হলি উৎসব উদযাপিত হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোল পূর্ণিমা বা হোলি উৎসব। এ উৎসব উদযাপন করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

 

মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার (৮ মার্চ) পর্যন্ত বিভিন্ন হিন্দুপাড়া এবং মন্দির থেকে বের করা হয় শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণের বিগ্রহ দোলায় চড়িয়ে নগর কৃর্ত্তন। এসময় ঢাকের বাদ্য, উলুধ্বনী এবং ধর্মীয় গানে মুখরিত হয়ে ওঠে মন্দির প্রাঙ্গন। পরে সনাতনীরা আবির ও রঙ দিয়ে একে অপরকে রাঙিয়ে তুলেন। এতে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষসহ শিশু-কিশোররা দোল পূর্ণিমা বা হোলি উৎসবে অংশগ্রহন করে।

 

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, এদিন শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাধিকা এবং তার সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল বা হলি খেলার উৎপত্তি। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও গলাচিপা পৌর শহরের কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি মন্দির, সাহাপাড়া মন্দিরসহ বিভিন্ন গ্রামে উৎসবমুখর পারিবেশের মধ্য দিয়ে এ উৎসব পালন করা হয়েছে। এছাড়া মন্দিরে পূজা, হোম যজ্ঞ, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। রং খেলা শেষে ছবি রানী দাস, সুমা রানী দাস, শম্পা রানী দাস, শিল্পী রানী দাস বলেন, ‘সকালে শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরে রাঙিয়ে দোলা চড়িয়ে নগর কীর্ত্তন বের করেছি। এসময় পাড়ার সকল ঘরের লোকজনকে রঙ ও আবির মেখে দিয়েছি।’ হোলিতে অংশ নেয়া সঞ্জিব দাস, কমল সরকার, গোপাল দেবনাথ বলেন, ‘দুপুর পর্যন্ত রঙ ও আবির দিয়ে সবাইকে রাঙিয়ে দিয়েছি। বেশ আনন্দ করেছি আমরা।’

 

গলাচিপা পৌর শহরের কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি মন্দিরের পুরোহিত মিন্টু চক্রবর্তী বলেন, ‘প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর এ উৎসব পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে কীর্ত্তন, মন্দিরে পূজা, প্রসাদ বিতরণ, রঙ ও আবির খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভক্তদের উপস্থিতিতে উৎসব মূখর ছিল মন্দির প্রাঙ্গণ।’