উপজেলা চেয়ারম্যান, পুলিশ, সাংবাদিকসহ আহত ৩০

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে রণক্ষেত্র বাউফল


বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক প্রকাশের সময় : মার্চ ১৮, ২০২৩, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ণ / Print This Post Print This Post
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে রণক্ষেত্র বাউফল

 

পটুয়াখালীর বাউফলে শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে পুলিশের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুসারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ২০মিনিট ধরে চলে এ সংঘাত। রণক্ষেত্রে পরিনত হয় উপজেলা পরিষদের সামনের সড়ক। বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট। পুলিশ লাঠিচার্জ ও ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পুলিশ ও সাংবাদিকসহ প্রায় ৩০জন আহত হয়। শুক্রবার (১৭মার্চ) বেলা ১১টার মিনিটের দিকে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনের সড়ক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল মামুন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ, দলীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আসম ফিরোজ এমপি, জেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান পৃথক পৃথক র‌্যালীর আয়োজন করেন। সকাল থেকে এমপির অনুসারীরা উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় জনতা ভবন, পৌর মেয়র অনুসারীরা বাউফল সরকারি কলেজ মাঠ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুসারীরা বাউফল মডেল ম্যাধমিক বিদ্যালয় মাঠে অবস্থান নেন।

বেলা ১১টার বাউফল মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক মোতালেব হাওলাদার সহ¯্রাধিক অনুসারী নিয়ে বের করে উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় জনতা ভবনে দিকে রওনা হন। জনতা ভবনে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আসম ফিরোজ এমপির অনুসারীরা অবস্থায় করায় দুপক্ষের মুখোমখী সংঘাত এড়াতে উপজেলা চেয়ারম্যানকে জনতা ভবনে যেতে বাঁধা দেয় পুলিশ। এতে উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুসারীরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। প্রায় ২০মিনিট ধরে থেমে থেমে চলে সংষর্ঘ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদার পুলশের বাঁধা অতিক্রম করে র‌্যালী নিয়ে সামনে গেলে দুপক্ষের সংঘর্ষ ঘটে। এতে উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদার আহত হন। এছাড়াও ৮ পুলিশ সদস্য, ৩সাংবাদিকসহ প্রায় ৩০জন হয়। গুরুতর আহত উপজেলা চেয়ারম্যানকে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুসারীরা জানান, আমরা র‌্যালী নিয়ে দলীয় কার্যালয় রওনা হলে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে পুলিশ বাঁধা দেয়। এসময় জনতা ভবন থেকে আসা এমপির অনুসারীরা উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর হামলা করে। তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়।

এমপির অনুসারীরা জানান, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে কর্মসূচি পালন করে আসছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপন নিয়েও সে একক সিদ্ধান্ত নেয়। প্রশাসন তাকে শান্তিপূর্ণভাবে র‌্যালী পালন করতে নির্দেশ দেন। তিনি প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে অরজগতা সৃষ্টির জন্য জনতা ভবনে আসতে চান। এসময় পুলিশের সাথে তাদের সংর্ঘষ হয়। সংঘর্ষের সময় সে আহত হয়। দলের কেউ তার ওপর হামলা করেনি।

এ বিষয়ে বাউফল থানা অফিসার ইনচার্জ আল মামুন জানান, স্থানীয় সাংসদ র‌্যালী বের করার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে জনতা ভবনে অবস্থান করছিলেন। উপজেলা চেয়ারম্যান বাউফল মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে র‌্যালী বের করে জনতা ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। দুপক্ষের সংঘাত এড়াতে তাকে বাঁধা দেয়। এসময় তার নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। পুলিশ লাঠিচার্জ ও ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ৬পুলিশ আহত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আহত হওয়ার কথা শুনেছি। এখন পর্যন্ত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১