গলাচিপায় অবশেষে বিয়ে করলেন আরিফ-মারিয়া


গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ প্রকাশের সময় : মার্চ ২০, ২০২৩, ১০:১৯ অপরাহ্ণ / Print This Post Print This Post
গলাচিপায় অবশেষে বিয়ে করলেন আরিফ-মারিয়া

 

পটুয়াখালীর গলাচিপায় দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে বিয়ে করলেন আরিফ হোসেন (২২) ও মারিয়া বেগম (১৮) নামের দম্পতি। গত (১০ ফেব্রুয়ারী) পটুয়াখালী বিজ্ঞ নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে দুজনের সম্মত্তিতে এ বিয়ে এ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে এ বিবাহ সম্পন্ন হয়। আরিফ হচ্ছেন উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের নিম হাওলা গ্রামের মো. আজাহার খানের ছেলে এবং গলাচিপা সরকারী কলেজের স্নাতক ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। আর মারিয়া বেগম হচ্ছেন গলাচিপা উপজেলার একই ইউনিয়নের উলানিয়া বন্দর এলাকার মাহাবুল খানের মেয়ে।

জানা যায় দীর্ঘদিন থেকে তাদের মাঝে পরিচয় ও ভাল লাগার সৃষ্টি হয়। ভাল লাগা থেকে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। দীর্ঘ দিন পর্যন্ত তাদের এই ভালবাসাকে পূর্ণতা দেওয়ার লক্ষ্যে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু বাক সাধে উভয়ের পরিবার। তাই পরিবারের আপত্তি সত্বেও বাবা-মা’কে না জানিয়েই বিয়ে করলেন আরিফ হোসেন ও মারিয়া বেগম।

এ বিষয়ে আরিফ হোসেন বলেন, আমরা একে অপরকে অনেক আগে থেকেই চিনি। পরিচয়ে সূত্র ধরে আমাদের মাঝে একটা ভাল সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমরা আমাদের সম্পর্কের কথা পরিবারের সবার সাথে শেয়ার করি। কিন্তু তারা আমাদের এই বিষয়টি মেনে নিতে চায় নিই। তাই আমরা বাথ্য হয়েই কোর্ট ম্যারেজ করেছি। এ ছাড়া ওকে পাওয়ার জন্য আমার অন্য কোন উপায় ছিল না। ওকে হারালে আমরা কেউই বাঁচতাম না। আমাদেরও যে একটা পছন্দ অপছন্দের বিষয় আছে তা আমাদের পরিবার বুঝতে চায় না।

এ বিষয়ে মারিয়া বেগম বলেন, আমার বিবাহের পরিপূর্ণ বয়স হয়েছে। আমি আরিফকে অনেক আগে থেকেই চিনি। সে একজন ভাল মানুষ। আর তাই আমি তাকে ভালবেসেছি। আমাদের ভালবাসা বাবা-মা মেনে নিতে চায় নি। তাই আমরা দুজনেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই। নিজের ভালো মন্দ বোঝার ক্ষমতা আমার আছে। তাই আমি বাধ্য হয়ে আরিফকে বিবাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা বিবাহ করি। আরিফের মত একজন ভাল মনের মানুষকে আমি হারাতে পারব না।

এ বিষয়ে মারিয়ার বাবা মাহাবুল খান জানান, আমি শুনেছি আমার মেয়ের সাথে আরিফের বিবাহ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমি হতাশ। ওকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। আমার মেয়ে যদি আরিফকে বিয়ে করে সুখি হয় সেটা তার ব্যাপার।

এ বিষয়ে আরিফের বাবা মো. আজাহার খান জানান, আমার ছোট ছেলে আমাদেরকে না জানিয়েই বিবাহ করেছে। আমাদেরকে মারিয়া নামের একটা মেয়ে ওর পছন্দ বলে জানিয়েছিল। আমি ওকে পরে বিবাহ করাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি যে বিবাহ করবে তা বুঝতে পারি নি। ওরা যদি এতে সুখী হয় তাতেই আমাদের সুখ।

এ বিষয়ে ৩ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, শুনেছি আরিফ ও মারিয়া একই ইউনিয়নের বাসিন্দা। তারা কোর্ট ম্যারেজ করেছে। কিন্তু ওদের পরিবারের কেউই বিষয়টি মেনে নেয় নি। উপর্যুক্ত বয়স হলে ছেলে মেয়েদের পছন্দেই বিবাহ দেয়া উচিৎ।


আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
%d bloggers like this: