মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ

বাউফলে আ.লীগের সাংবাদিক সম্মেলন


বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক প্রকাশের সময় : মার্চ ২০, ২০২৩, ১২:০৬ পূর্বাহ্ণ / Print This Post Print This Post
বাউফলে আ.লীগের সাংবাদিক সম্মেলন

 

 

পটুয়াখালীর বাউফলে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবসে পুলিশ ও আওয়ামীলীগের দুপক্ষের সংঘষের ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘সংসদ সদস্যের সামনে উপজেলা চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদকে মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগ। রবিবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ওই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. ইব্রাহিম ফারুকের স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন।

ফরিদ উদ্দিন বলেন, দৈনিক প্রথম আলোর রিপোর্টার লিখেছেন ‘এ সময়ে বেলা আ.স.ম ফিরোজ এমপির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় আবদুল মোতালেব হাওলাদারকে’ এ তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। গনমাধ্যমে প্রকাশিত অসংখ্য ভিডিও ও স্থিরচিত্র প্রকাশিত হয়েছে তার কোথাও এর সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। সত্যিকারের ঘটনা হচ্ছে এ সময় আ.স.ম ফিরোজ এমপি দলীয় কার্যালয় জনতা ভবনের সামনে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে যার দূরত্ব ২০০মিটার। তার সামনে ছিল নেতা-কর্মী এবং পুলিশ বেষ্টনী।

সাংবাদিক সম্মেলনে ফরিদ আরও বলেন, প্রথম আলোর প্রতিনিধি মো. মিজানুর রহমান তার রিপোর্টে একাধিকবার প্রত্যক্ষদর্শীর উদৃতি দিয়েছেন – অথচ তিনি নিজেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। কাল বেলার অনলাইনে প্রকাশিত ভিডিও চিত্রে দেখা যায় তিনি (প্রথম আলো প্রতিনিধি) উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুসারীদের পুলিশের ওপর হামলা নরা চালাতে হাতদিয়ে ইশারা দিচ্ছেন। উপস্থিত থেকে প্রত্যক্ষদর্শীর উদৃতি দেওয়া সত্যকে মিথ্যার আরবণে ঢেকে রাখার অপচেষ্টা নয় কি?


সাংবাদিক সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান মোসারেফ হোসেন খান বলেন, প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে ১৭ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসম ফিরোজ এমপির নেতৃত্ব দলীয় কার্যালয় জনতা ভবন থেকে ২৫/৩০ হাজার লোক নিয়ে র‌্যালী বের হলে পুলিশের বাঁধা সম্মুখিন হই। পুলিশের বাঁধায় আসম ফিরোজ উপজেলা গেট থেকে পূর্বদিকে প্রায় ২০০ মিটার দুরে অবস্থান করছিলেন। তখন উপজেলা চেয়ারম্যান পশ্চিম দিক থেকে মিছিল নিয়ে আসলে উপজেলা গেটে ইউএনও ও ওসির নেতৃত্বে পুলিশ মোতালেব হাওলাদারকে উপজেলা চত্বরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার নেতাকর্মীরা প্রশাসনের বাঁধা উপেক্ষা করে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। স্থানটি রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তার এক পর্যায় উপজেলা চেয়াম্যান কে বা কাদের দ্বারা আক্রান্ত হয় তা আমাদের জানা নেই।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি মো. সামসুল আলম মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি ও কেশবপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পিকু, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও নওমালা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, কনকদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার, জেলা পষিদ সদস্য শাহজাহান সিরাজ, ধুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির, উপজেলা যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সামসুল কবির নিশাত প্রমূখ।


আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১