২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সরকারি মুড়াপাড়া কলেজ প্রাঙ্গণে রঙ ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া

সোহরাব হোসেন সাজিদ, রূপগঞ্জ , প্রকাশিত হয়েছে-

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার সরকারি মুড়াপাড়া কলেজের বীর প্রতীক গাজী অডিটোরিয়ামের পাশেই ডানা মেলেছে রক্তিম কৃষ্ণচূড়া। কলেজ প্রাঙ্গণ জুড়ে আম, জাম, সেগুনসহ নানা ফুল, ফল ও গাছের মাঝ থেকে উঁকি দিচ্ছে রক্তিম কৃষ্ণচূড়া। গ্রীষ্মের তাপদাহেও কৃষ্ণচূড়া তার রক্তিম মায়াবি রঙ ধারণ করে শোভা দিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতিকে। আর কালবৈশাখির কালো ছায়াই রক্তিম পুষ্পবৃষ্টি ছড়িয়ে যাচ্ছে অবিরাম। ভোরের রাস্তায় বিছিয়ে দিয়ে যায় রক্তিম চাদর। কৃষ্ণচূড়া বসন্তের ফুল হলেও গাছটির সারা গায়ে প্রতি বছর রক্তিম রুপ ধারণ করে সাধারণত বৈশাখের মাঝ থেকে জোষ্ঠ্যের প্রথম দিকে। এই বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। সরকারি মুড়াপাড়া কলেজ জুড়ে যে কয়টি কৃষ্ণচূড়া গাছ রয়েছে তার সবকটিই রক্তিম রুপ ধারণ করে চারপাশে শোভা ছড়িয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলেজের অডিটোরিয়ামের সড়কের এক পাশে তাকালেই চোখে পড়ছে ফুলে পরিপূর্ণ কৃষ্ণচূড়া গাছ। গাছগুলো কলেজ প্রাঙ্গণের প্রতিটি মানুষকে এই মৌসুমে তাদের শোভা ছড়িয়ে রক্তিম আহবান জানিয়ে যাচ্ছে অবিরত। আর বাতাসের প্রতিটি দোলাই রাস্তার উপর ছড়িয়ে দিচ্ছে পুষ্প বৃষ্টি। যা কলেজে প্রবেশ করা ও কলেজ থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় প্রতিটি মানুষের অন্তরে রক্তিম ছোঁয়া লাগিয়ে দিয়ে যায়। কলেজের চারতলা ভবনের পাশে প্রায় ১০টি  কৃষ্ণচূড়া গাছ স্থির ভাবে দাড়িয়ে তার রক্তিমতার সুবাতাস যেমনি প্রবাহিত করে চলেছে তেমনি ভাবে রক্তিম পুষ্পে তার চারপাশ সবুজের মাঝে লাল করে তুলেছে। এই ভাবেই রূপগঞ্জের সরকারি মুড়াপাড়া কলেজের চারতলা ভবনের পাশ থেকে উঁকি দিচ্ছে কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, অনেক বছর আগে এ জায়গায় কাঁচা রাস্তা ছিলো। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের তত্ত্বাবধানে এখানে পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়। পরে রাস্তার পাশের কিছু জায়গায় শিক্ষার্থীদের বসার জন্য ইট, সিমেন্ট দিয়ে গোলাকৃতির বেঞ্চ নির্মাণ করে প্রতিটি বেঞ্চের মাঝের ফাকা জায়গায় একটি করে কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপণ করা হয়। সেই কৃষ্ণচূড়া গাছগুলোর সৌন্দর্যেই  এখন কলেজ প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, কলেজে ক্লাস শেষে একটু বিশ্রামের জন্য যখন এই জায়গায় আসি তখন এই কৃষ্ণচূড়া গাছের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে মন মুগ্ধ হয়ে যায়। এমন অপরূপ সৌন্দর্য দেখার পর শরীরের সকল ক্লান্তি যেন এক নিমিষেই সেই দূর হয়ে যায়।