১০ দিনেও ছাড় পায়নি আমদানি করা পেঁয়াজ ও মহিষের মাংস


নিজস্ব সংবাদদাতা প্রকাশের সময় : মে ২০, ২০২৩, ৩:৫৫ অপরাহ্ণ / Print This Post Print This Post
১০ দিনেও ছাড় পায়নি আমদানি করা পেঁয়াজ ও মহিষের মাংস

 

পেঁয়াজ আমদানির আইপি বা ইমপোর্ট পারমিট বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কাছে থেকে অনুমতি নিয়ে কাঁচামাল হিসেবে পেঁয়াজ আমদানি করে মেডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ। তবে মহিষের মাংস আমদানি করার ক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর থেকে অনুমোদন নেয়ার বিধান থাকলেও, এই মাংস আমদানিতে কোনোরূপ পূর্ব অনুমোদন নেয়নি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি। যার পরিপ্রেক্ষিতে সেই মাংস ছাড় না দিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় প্রাণিসম্পদ অধিদফতর।

একই সঙ্গে অনুমতি না থাকায় হিলি স্থলবন্দর প্রাণিসম্পদ কোয়ারেন্টিন কর্তৃপক্ষের কাছে থেকেও কোনো ছাড়পত্র পায়নি মেডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ। এ প্রসঙ্গে হিলি স্থলবন্দরের প্রাণিসম্পদ কোয়ারেন্টাইন স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক কাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মাংস আমদানির বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কোনো অনুমতি নেয়নি মেডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ। সে কারণে আমরা কোয়ারেন্টিন সনদ দেইনি। মাংস ছাড় না দেওয়ার জন্য গত সোমবার (১৫ মে) রংপুর বিভাগীয় কাস্টমস কমিশনার বরাবর আমাদের মহাপরিচালকের দফতর থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’

তবে এক মাসের মধ্য যদি কোনো সমাধান না হয়, তবে সরকার এসব মহিষের মাংস অনুকূলে নিয়ে যে কোনো কিছু করতে পারে বলেও জানান তিনি।

এদিকে আচার তৈরি করতে কাঁচামাল হিসেবে ভারত থেকে মহিষের মাংস ও পেঁয়াজ আমদানি করলেও এই প্রতিষ্ঠানের আচার তৈরির কোনো সক্ষমতা নেই। পাশাপাশি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটির পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতিরও ঘাটতি রয়েছে। এমন তথ্য জানিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ কাস্টমসের কর্তৃপক্ষের কাছে দিয়েছে ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন।

এ বিষয়ে ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ ইমরান বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণ প্রাণী আছে। মাংসের কোনো অভাব বা ঘাটতি নেই। তবুও ভারত থেকে মহিষের মাংস আমদানি করেছে মেডলাইফ প্যাকেজিং। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, এই প্রতিষ্ঠানের মাংসের আচার উৎপাদনের কোনো সক্ষমতা নেই। এমনকি মাংসের আচার উৎপাদনের জন্য আধুনিক যেসব যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়, সেসবের কিছুই নেই এই প্রতিষ্ঠানের। তাহলে তারা কী উদ্দেশ্য নিয়ে মাংস আমদানি করল? তাই আমরা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।’

এ নিয়ে গত মঙ্গলবার (১৬ মে) শুনানির দিন ধার্য করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তবে সেদিন সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকলেও, মাংস আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এবং আমদানিকারক যথাযথ কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেনি। ফলে তারা কাস্টমসের কাছে আরও কিছু সময় চেয়ে আবেদন করে।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে কম শুল্কের আড়ালে দামি পণ্য আমদানি

যার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী সোমবার (২২ মে) কাস্টমসের আপিল বিভাগ রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করে। ওইদিন এই বিষয়ে চূড়ান্ত রায় হওয়ার কথা রয়েছে।

হিলি কাস্টমসের উপকমিশনার (ডিসি) বায়জিদ হোসেন বলেন, ‘মহিষের মাংস ঢাকার তেজগাঁওয়ে সংরক্ষণাগারে রাখা হয়েছে এবং পেঁয়াজ আমাদের হিলি বন্দরের গুদামে রাখা আছে। প্রাণিসম্পদ দফতরের আপত্তি থাকায় শিল্পপণ্য হিসেবে ব্যবহারের জন্য কাঁচামাল হিসেবে আমদানি করা এসব পণ্য আমরা ছাড় দিতে পারিনি। এই বিষয়ে কাস্টমসে আপিল শুনানির দিন ধার্য আছে। শুনানির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

এদিকে কাস্টমসের একটি সূত্র বলছে, ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগের ভিত্তিতে মেডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানির অবস্থান সাভারে থাকায় সেখানের কাস্টমস কর্মকর্তাকে সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১