ভূমি উন্নয়নে ব্যয় ১১৪৯ কোটি, জুলাইয়ে শুরু প্রথম পাতাল রেলের কাজ


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক প্রকাশের সময় : মে ২৩, ২০২৩, ৯:১৫ অপরাহ্ণ / Print This Post Print This Post
ভূমি উন্নয়নে ব্যয় ১১৪৯ কোটি, জুলাইয়ে শুরু প্রথম পাতাল রেলের কাজ

দেশের প্রথম পাতাল রেল এমআরটি লাইন-৫ এর উত্তরা রুটের কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ-১ (ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়ন) কাজ শুরু করতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই হয়েছে। ভূমি উন্নয়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ১৪৯ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক এ চুক্তি সংক্রান্ত নানা কাজ ও আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে দুই মাস পর অর্থাৎ জুলাই মাসে শুরু হবে ভূমি উন্নয়ন কাজ। এ চুক্তির অধীনে মোট ৯৯ দশমিক ২৫ একর ভূমি উন্নয়ন করা হবে।

মঙ্গলবার (২৩ মে) রাজধানীর উত্তরায় ডিএমটিসিএল ভবনে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড, টিওএ করপোরেশন (জাপান) এবং স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের (বাংলাদেশ) মধ্যে এই চুক্তি সই হয়।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার রুটে ২০২৮ সালের মধ্যে যাত্রী পরিবহন সেবা দিতে চায় ডিএমটিসিএল। গাবতলী, মিরপুর-১০, কচুক্ষেত, বনানী, নতুনবাজার সড়কের নিচ দিয়ে যাবে রুটের একটি অংশ। এছাড়া হেমায়েতপুর থেকে আমিনবাজার এবং নতুনবাজার থেকে ভাটারা অংশ তৈরি করা হবে সড়কের ওপর দিয়ে।

পাতাল ও উড়াল রুটের সমন্বয়ে লাইনটির দৈর্ঘ্য হবে ২০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পাতাল ও ৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার হবে উড়াল রুট।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পাতাল ও উড়াল দুইটার সমন্বয়ে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত এই রুটে চলাচল করবে মেট্রোরেল। ২০ কিলোমিটার এ দূরত্ব পাড়ি দেবে ৩২ মিনিটে। দৈনিক ১২ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।

এমআরটি-৫ এর পাতাল অংশে নয়টি ও উড়াল অংশে পাঁচটিসহ মোট ১৪টি স্টেশন নির্মাণ হবে। এর মধ্যে মাটির নিচে স্টেশন থাকবে যথাক্রমে গাবতলী, দারুস সালাম, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, মিরপুর-১৪, কচুক্ষেত, বনানী, গুলশান-২ ও নতুনবাজার।

প্রকল্পটির কাজ ২০২৮ সালের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা সরকারের। এর নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। এ প্রকল্পে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে জাইকা।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এবং জাইকার প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তমোহিদে। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক। এসময় বিআরটিএ ও ডিএমটিসিলের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৫) নর্দার্ন রুট প্রকল্পের পরিচালক মো. আফতাব হোসেন খান বলেন, নর্দার্ন-৫ রুটে মোট ভূমি উন্নয়ন ব্যয় এক হাজার ১৪৯ কোটি টাকা। এ বিষয়ে চুক্তি সই হয়েছে। দুই মাস পরে কাজ শুরু হবে। এটাই বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের আনুষ্ঠানিক কাজ বলা যায়।

SK24/SMK/DESK


আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
%d bloggers like this: