রাজবাড়ী সদর উপজেলার চর জৌকুড়া আল জামেয়া ইসামিয়া মাদ্রাসার দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৬ ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত দুই শিক্ষক আত্মগোপনে রয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, সদর উপজেলার মহাদেবপুর চেয়ারম্যানের বটতলা এলাকার মজিবর খানের ছেলে হাফেজ আ. মমিন ও পাংশা উপজেলার জোনা পাট্টা গ্রামের হাফেজ আল আমিন।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে সরেজমিন রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের চর জৌকুড়া আল জামেয়া ইসামিয়া মাদ্রাসা গেলে ভূক্তভোগি ছাত্ররা জানায়, দুই শিক্ষক হাফেজ আ. মমিন ও হাফেজ আল আমিন মোবাইলের কার্টুন দেখিয়ে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে রাতের বেলা পদ্মা নদীর পাড়ে নিয়ে দীর্ঘ দের বছর ধরে তাদেরকে বলাৎকার করে। ভয়ভীতি দেখানোয় তারা ভয়ে তাদের অভিভাবকদের কিছু বলেননি। কিন্তু বলাৎকারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ছাত্ররা তাদের অভিভাবকদের কাছে জানালে ঘটনার বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। এরপর থেকেই ওই দুই শিক্ষক মাদ্রাসায় না এসে আত্মগোপনে রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, এ মাদ্রাসার কোন কমিটি না থাকায় শিক্ষকগণ অপকর্মের সাহস পায় । আমরা এলাকাবাসী মিলে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করলেও পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সামসু মন্ডল ঢাকায় থাকেন। ৬জন ছাত্রকে বলাৎকারের বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় ওই দুই শিক্ষক আত্মগোপনে রয়েছে। বিষয়টির সুষ্ঠ বিচার না হলে এ অপকর্ম চলতেই থাকবে। মান-সম্মানের ভয়ে এ বিষয়ে কেও থানায় অভিযোগ করেননি।
অভিযুক্ত হাফেজ আল আমিন ও হাফেজ আ. মমিন মোবাইল বন্ধ করে আত্মগোপনে থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সামসু মন্ডলের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন ধরেননি।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
SK24/SMK/DESK
আপনার মতামত লিখুন :