২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুবকে অব্যাহতি নয় সুপারিশ

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ , প্রকাশিত হয়েছে-

পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদারের বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ নিয়ে ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে। মাহবুবুর রহমান তালুকদার কে দলীয় পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি কিংবা অব্যাহতি নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে চলছে আলোচনা সমালোচনা। এদিকে মাহবুবের অব্যাহতি নিয়ে কেন্দ্রীয় আ’লীগ, জেলা আ’লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ দলের সিনিয়র নেতারাই ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমানকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে প্রচার চালানো হয়। তবে এ বিষয় অনুসন্ধানে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। এবং অনুসন্ধানে অব্যাহতির কোন চিঠি বা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেখাতে পারেনি জেলা আওয়ামী লীগ।

মাহবুবুর রহমান তালুকদার কে দল থেকে অব্যাহতি কিংবা পদ থেকে অব্যাহতির কোন সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মন্নান বলেন, ‘এমন সিদ্ধান্ত হলে সেটা তো প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়া হতো। আমি এ বিষয় আমি কিছু জানি না, জেলা আওয়ামিলীগের সভাপতির সাথে আপনারা কথা বলেন।’

জেলা আওয়ামিলীগ সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন সময়রে খবরকে জানান, ‘ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মাহবুবুর রহমান তালুকদার বেফাস মন্তব্য করায় তাকে জেলা আওয়ামিলীগ পক্ষ থেকে শোকজ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি শোকজ এর জবাব দিয়েছেন। এছাড়া কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ সভা করে মাহবুবুর রহমান কে দল থকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কাছে যাবতীয় কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ‘

এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামিলীগের দপ্তর সম্পাদক এড. হারুন আর রশিদ জানান, মাহবুবুর রহমান তালুকদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামীগের কাছে যাবতীয় কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। তবে বহিস্কার কিংবা অব্যাহতির সিদ্ধান্ত হয়নি।

বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসনেরে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি সময়ের খবরকে জানান, অব্যাহতির বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন কিছু আমি অবগত নয়।

এদিকে সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান তালুকদার বলেন, আমি দীর্ঘ দিন আওয়ামিলীগের রাজনীতি করছি, ছাত্র লীগের সভাপতি ছিলাম। কিন্তু এখন যেটা হচ্ছে তা মূলত আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অপপ্রচার মাত্র। আমি গত ২২মে নেত্রী প্রাণ মাসের হুমকির বিরুদ্ধে কলাপাড়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ করি সে দিন আমার সাথে লাখো জনতার ঢল ছিল সেটা নিয়ে নোংরা রাজনীতি চলাচ্ছে এক দল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে কাঁদা ছোড়াছুড়ি করতে নিষেধ করেছেন। নিজেরা কাঁদা ছোড়াছুড়ি করায় বিএনপি সুবিধা নিচ্ছে। আগামী নির্বাচনে দলীয় সভানেত্রী যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষেই আমরা সবাই কাজ করবো। আর আমার রাজনৈতিক এবং শিক্ষা জীবনের যে জ্ঞান তাতে বলতে পারি জেলা আওয়ামিলীগ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিকে অব্যাহতি দিতে পারে না। তারা মুলত সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠাতে পারে এবং কেন্দ্র এ বিষয়, বিশেষ করে দলীয় সভানেত্রী সিদ্ধান্ত নিবেন।’

উল্লেখ্য সম্প্রতি কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান তালুকদারের সাথে এক শ্রমিকলীগ নেতার মোবাইল ফোনের কথোপকথন প্রকাশ পায়। এবং এই কল রেকর্ডকে সুপার সুপার এডিট বলে দাবি করছেন সাবেক মন্ত্রী।