২০ লাখ টাকার লাক্ষা মাছ ধরার পর

১৫ দিনের ব্যবধানে একই জেলের জালে আবার ২৫ লাখ টাকার লাক্ষা মাছ


নাসির উদ্দিন, ইন্দুরকানী প্রকাশের সময় : মার্চ ৩০, ২০২৪, ৭:৪৫ অপরাহ্ণ / Print This Post Print This Post
১৫ দিনের ব্যবধানে একই জেলের জালে আবার ২৫ লাখ টাকার লাক্ষা মাছ

 

১৫ দিনের ব্যবধানে আবারও ইন্দুরকানীর দুলাল ফকিরের জালে ধরা পড়ল ২৫ লাখ টাকার লাক্ষা মাছ। এর আগে গত ১৬ মার্চ তিনি ২০ লাখ টাকার লাক্ষা মাছ বিক্রী করে আলোচিত হয়েছিলেন। এর মাত্র ১৫ দিনের মাথায় আবার ২৫ লাখ টাকার মাছ বিক্রী করে একজন ভাগ্যবান হিসাবে তিনি পুনরায় আলোচনায় উঠেছেন।

অবশ্য একটি সূত্র জানায়, এবার দুলাল ফকিরের জালে আরো বেশি মাছ ধরা পড়লেও তার ও জেলেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে মাছ বিক্রীর টাকার পরিমান কমিয়ে বলা হচ্ছে।

ইন্দুরকানী উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের পূর্ব চরবলেশ^র ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ দুলাল ফকিরের এফবি আবদুল্লাহ ও এফবি আল ইমরান নামের দুইটি ট্রলার ১৫ দিন আগে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায়। তার দুটি ট্রলারেই এবার অন্যান্য মাছ ছাড়াও ১২০টি লাক্ষা মাছ ধরা পড়েছে। প্রতিটি লাক্ষার ওজন ৩ থেকে ৭ কেজি।
ট্রলারের জেলেরা জানান, ১৫ দিন আগে আমরা জাল, বরফ ও রসদ বোঝাই করে সাগরে যাই। আলহামদুলিল্লাহ আমরা অন্যান্য মাছের সাথে আরও ১২০টি লাক্ষা মাছও পেয়েছি। ২৫ লাখ টাকায় মাছ বিক্রী হয়েছে। ঈদের আগে এত বেশি মাছ পাওয়ায় আমরা খুশি। এবার পরিবার পরিজন নিয়ে ভালভাবে ঈদ করতে পারব।

এফবি আবদুল্লাহ ও এফবি আল ইমরান ট্রলারের মালিক দুলাল ফকির জানান, এর আগে কয়েকবার সাগরে ট্রলার পাঠিয়ে তার লোকসান হলেও আড়ৎদারী বাদ দিয়ে আগেরবার ২০ লাখ এবং এবার ২৫ লাখ টাকার মাছ বিক্রী হওয়ায় আগের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন।

পাড়েরহাট মৎস্য অবতারণ কেন্দ্রের আড়ৎদার মহসিন মেম্বর জানান, শনিবার দুলাল ফকিরের এফবি আবদুল্লাহ ও এফবি আল ইমরান নামের দুটি ট্রলার মাছ নিয়ে আমার আড়তে আসে। পাইকারদের কাছে ২৫ লাখ টাকায় এ মাছ বিক্রী করা হয়েছে। অন্যান্য মাছের তুলনায় লাক্ষা মাছের চাহিদা এবং দাম বেশি।


আর্কাইভ