দেশটা দালালে ভরে গেছে: ওবায়দুল কাদের


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় : মার্চ ২৫, ২০২৪, ৬:০৯ অপরাহ্ণ / Print This Post Print This Post
দেশটা দালালে ভরে গেছে: ওবায়দুল কাদের

 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশটা দালালে ভরে গেছে। এই দালালদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সামাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। ঐতিহাসিক গণহত্যা দিবস উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

কাদের বলেন, আমি জানতে চাই, আজকে দুপুর বেলায় পল্টন ময়দানে মির্জা ফখরুল মুক্তিযোদ্ধার সমাবেশ করেছে, একাত্তরে আপনি কোথায় ছিলেন? আপনি কোথা থেকে ট্রেনিং নিয়েছেন? একাত্তরে কোন সেক্টরে আপনি যুদ্ধ করেছেন? আমরা জানতে চাই।

তিনি আরও বলেন, এরা কারা? এরা পাকিস্তানের দালাল। মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ভুয়া। মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ একটা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ। এখানে মুক্তিযোদ্ধা হাতেগোনা কয়েকজনকে পাবেন। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা কোনোদিনও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। এরা দালাল। এই দালালদের জন্য ২৫ মার্চের গণহত্যার স্বীকৃতি আজও আমরা পাইনি।

কাদের বলেন, এই দালালদের জন্য আমরা পাকিস্তানের কাছ থেকে আমাদের ন্যায্য পাওয়া আজও পাইনি। পাকিস্তানের নাগরিকরা বছরের পর বছর আমাদের ঘাড়ে বোঝা হয়ে আছে৷ কথা দিয়েও তারা পাকিস্তানের নাগরিকদের ফেরত নেয়নি। পাকিস্তান আমাদের পাওনা আজও বুঝিয়ে দেয়নি। পাকিস্থান গণহত্যার জন্য একটি বারও দুঃখ প্রকাশ করেনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, সেই পাকিস্তানের যারা দালালি করে তারা আমাদের স্বাধীনতার শত্রু। বিএনপি পাকিস্তানের দালালি করে আমাদের শক্র। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে। জয় বাংলা স্লোগানকে নিষিদ্ধ করেছে৷৭ মার্চ নিষিদ্ধ করেছিলো। ২৬ মার্চে স্বাধীনতার স্থপিকে নিষিদ্ধ করেছিলো।

তিনি বলেন, ক্ষমতার দিবাস্বপ্ন দেখছে। ফখরুল সিঙ্গাপুর থেকে এসে দিবাস্বপ্নে বিভোর। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই। বিএনপির প্রভু আছে। বিএনপির প্রভু আছে যারা তাদের স্বার্থের পক্ষে উকালতি করে। আমাদের বন্ধুরা একাত্তরের পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো বিদেশি বন্ধু হস্তক্ষেপ করেনি। বিএনপির বন্ধুরা যখন নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিলো তখন আমাদের বন্ধুরা নির্বাচনের পক্ষে স্ট্রংলি দাড়িয়েছিলো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, রান্নাঘরে যা যা ব্যবহার করে তার মধ্যে ভারতীয় পণ্য কোনটা কোনটা। রান্না ঘরে যান, শোয়ার ঘরে যান ভারতীয় পণ্য।

বিএনপি নেতাদের ভারতীয় পণ্য ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন রিজভী রাজনীতি করার জন্য গা থেকে কাশ্মীরি শাল ফেলে দিয়ে আগুনে পুড়েছে। আরও কয়টা শাল তার ঘরে আছে কে জানে। ভারতীয় পণ্য ছাড়া খাবার জুটে না। ভারতীয় মশলা, ভারতীয় পেঁয়াজ কার ঘরে নাই? খুজে দেখব?

কাদের আরও বলেন, দেশটা দালালে ভরে গেছে। এই দালালদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো হুমায়ুন কবির।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ, আফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ প্রমুখ।

 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশটা দালালে ভরে গেছে। এই দালালদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সামাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। ঐতিহাসিক গণহত্যা দিবস উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

কাদের বলেন, আমি জানতে চাই, আজকে দুপুর বেলায় পল্টন ময়দানে মির্জা ফখরুল মুক্তিযোদ্ধার সমাবেশ করেছে, একাত্তরে আপনি কোথায় ছিলেন? আপনি কোথা থেকে ট্রেনিং নিয়েছেন? একাত্তরে কোন সেক্টরে আপনি যুদ্ধ করেছেন? আমরা জানতে চাই।

তিনি আরও বলেন, এরা কারা? এরা পাকিস্তানের দালাল। মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ভুয়া। মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ একটা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ। এখানে মুক্তিযোদ্ধা হাতেগোনা কয়েকজনকে পাবেন। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা কোনোদিনও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। এরা দালাল। এই দালালদের জন্য ২৫ মার্চের গণহত্যার স্বীকৃতি আজও আমরা পাইনি।

কাদের বলেন, এই দালালদের জন্য আমরা পাকিস্তানের কাছ থেকে আমাদের ন্যায্য পাওয়া আজও পাইনি। পাকিস্তানের নাগরিকরা বছরের পর বছর আমাদের ঘাড়ে বোঝা হয়ে আছে৷ কথা দিয়েও তারা পাকিস্তানের নাগরিকদের ফেরত নেয়নি। পাকিস্তান আমাদের পাওনা আজও বুঝিয়ে দেয়নি। পাকিস্থান গণহত্যার জন্য একটি বারও দুঃখ প্রকাশ করেনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, সেই পাকিস্তানের যারা দালালি করে তারা আমাদের স্বাধীনতার শত্রু। বিএনপি পাকিস্তানের দালালি করে আমাদের শক্র। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে। জয় বাংলা স্লোগানকে নিষিদ্ধ করেছে৷৭ মার্চ নিষিদ্ধ করেছিলো। ২৬ মার্চে স্বাধীনতার স্থপিকে নিষিদ্ধ করেছিলো।

তিনি বলেন, ক্ষমতার দিবাস্বপ্ন দেখছে। ফখরুল সিঙ্গাপুর থেকে এসে দিবাস্বপ্নে বিভোর। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই। বিএনপির প্রভু আছে। বিএনপির প্রভু আছে যারা তাদের স্বার্থের পক্ষে উকালতি করে। আমাদের বন্ধুরা একাত্তরের পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো বিদেশি বন্ধু হস্তক্ষেপ করেনি। বিএনপির বন্ধুরা যখন নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিলো তখন আমাদের বন্ধুরা নির্বাচনের পক্ষে স্ট্রংলি দাড়িয়েছিলো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, রান্নাঘরে যা যা ব্যবহার করে তার মধ্যে ভারতীয় পণ্য কোনটা কোনটা। রান্না ঘরে যান, শোয়ার ঘরে যান ভারতীয় পণ্য।

বিএনপি নেতাদের ভারতীয় পণ্য ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন রিজভী রাজনীতি করার জন্য গা থেকে কাশ্মীরি শাল ফেলে দিয়ে আগুনে পুড়েছে। আরও কয়টা শাল তার ঘরে আছে কে জানে। ভারতীয় পণ্য ছাড়া খাবার জুটে না। ভারতীয় মশলা, ভারতীয় পেঁয়াজ কার ঘরে নাই? খুজে দেখব?

কাদের আরও বলেন, দেশটা দালালে ভরে গেছে। এই দালালদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো হুমায়ুন কবির।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ, আফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ প্রমুখ।


আর্কাইভ