তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে উত্তরের ১১ উপজেলায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান


নিজস্ব সংবাদদাতা প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ / Print This Post Print This Post
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে উত্তরের ১১ উপজেলায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

 

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নসহ ছয়দফা দাবিতে তিস্তা নদীর দুই তীরের ১১ টি উপজেলায় একযোগে মানববন্ধন পালিত হয়েছে। মানববন্ধন, সমাবেশ শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়।

২৫ এপ্রিল ২০২৪ তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ রংপুর বিভাগের ১১ উপজেলায় এই কর্মসূচির আয়োজন করে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপি চলে মানববন্ধন ও সমাবেশ। কর্মসূচিতে তিস্তা পাড়ের শত শত মানুষ অংশ নেয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জনতা ১১ উপজেলার নির্বাহী অফিসারের হাতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। অনেক উপজেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, রাজনীতিকসহ সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, ২ আগস্ট ২০২৩ রংপুরের জিলা স্কুল মাঠে পাঁচ লক্ষাধীক মানুষের সমাবেশে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ” আমাদের তিস্তা মহাপরিকল্পনা আমরা বাস্তবায়ন করব। “দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে লালমনিরহাটের কালেক্টরেট মাঠের ভার্চুয়াল সভায় যুক্ত হয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিষয়ে একই কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী তিস্তা পাড়ের কোটি মানুষকে তিস্তা মহাপরিকল্পনার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। আমরা চাই এই স্বপ্নের বাস্তবায়ন, তিস্তার বুকে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় নদী সম্মত খনন।

রংপুরের তিস্তা তীরের কাউনিয়া উপজেলার কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তাফিজার রহমান,আশিকুর রহমান, গনেশ শর্মা। হাতিবান্ধা উপজেলায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা ওসমান গনি, এডভোকেট মশিউর রহমান, লালমনিরহাট উপজেলায় সংগঠনের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য গেরিলা লিডার শফিকুল ইসলাম কানু, কেন্দ্রীয় নেতা চিত্ত রঞ্জন বর্মন, কালিগঞ্জ উপজেলায় ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম,অধ্যক্ষ ড. মনওয়ারুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম হেলাল, পীরগাছা উপজেলায় ছিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় নেতা বাবুল আকতার, রফিকুল ইসলাম, গংগাচড়া উপজেলায় ছিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ছাদেকুল ইসলাম, মাহমুদ আলম, আশরাফুল ইসলাম, আশরাফুজ্জামান, রাজারহাট উপজেলায় ছিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য বখতিয়ার হোসেন শিশির, সাজু সরকার সরকার, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস ছালাম,মোশারফ হোসেন, জাহিদুল হক, উলিপুরে ছিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য মশিয়ার রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা মোশাররফ মুন্সি,এড. কামরুজ্জামান ,আজিতমারীতে ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা দীলিপ কুমার, এডভোকেট মঞ্জু, ডিমলা উপজেলায় ছিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য এড. মোজাফ্ফর হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক নুর মহাম্মদ খান, সোহেল হোসেন, হাফিজার রহমান, গোলাম মোস্তফা, জলঢাকা উপজেলায় ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম পাশা এলিস ও মাইদুল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা,উপজেলা সভাপতি সাজু মুন্সি,হাবিবুর রহমান।

তিস্তা পাড়ের মানুষের ছয়দফা দাবি: তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন, তিস্তা চুক্তি সই ও জলাধার নির্মাণ; তিস্তা নদীর শাখা-প্রশাখা ও উপশাখাগুলোর সঙ্গে তিস্তা নদীর পূর্বেকার সংযোগ স্থাপন, খনন, অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও নৌ চলাচল পুনরায় চালু করা; তিস্তা মহাপরিকল্পনায় তিস্তা চরের ও নদী তীরবর্তী কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় কৃষি সমবায়, ফুডপ্রসেসিংসহ কৃষিভিত্তিক শিল্প কলকারখানা গড়ে তোলা;তিস্তার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের স্বার্থ সংরক্ষণ, নদী ভাঙনের শিকার ভূমিহীন, গৃহহীন ও মৎস্যজীবীসহ উদ্বাস্তু মানুষের পুনর্বাসন; ভূমিদস্যু ও কর্পোরেট কোম্পানীর হাত থেকে দখলকৃত তিস্তাসহ তিস্তার শাখা ও উপনদী দখলমুক্ত করা,নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আাইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ;তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিস্তা পাড়ের মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।


আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০