ডেঙ্গু এবার আরও ভয়ংকর হতে পারে


নিজস্ব সংবাদদাতা প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৭, ২০২৪, ৯:৫৮ অপরাহ্ণ / Print This Post Print This Post
ডেঙ্গু এবার আরও ভয়ংকর হতে পারে

 

চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়তে পারে৷ তা হতে পারে ভয়ংকর৷ গত বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় এই বছরের প্রথম তিন মানে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর দ্বিগুণেরও বেশি৷

গবেষণায় ঢাকাসহ নয়টি জেলায় ডেঙ্গুর জন্য দায়ী এডিস মশার উচ্চঘনত্ব দেখা গেছে৷ আর ডেঙ্গু এখন সারা বছরের রোগে পরিণত হয়েছে৷

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার জানান, এই বছর ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, চাঁদপুর, নরসিংদী, গাজীপুর, বরিশাল, বরগুনা ও মাদারীপুরে ডেঙ্গুর প্রকোপ গত বছরের চেয়েও বাড়বে৷

এই অধ্যাপক বলেন, ‘মার্চ মাসে মাঠ পর্যায়ে গবেষণা করে দেখা গেছে, এবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি ওই জেলাগুলোতে আরও খারাপ হবে৷ আমরা ডেঙ্গু মশার ঘনত্ব, বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, আদ্রতা, ডেঙ্গু রোগী এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নেই৷ তাতে দেখা গেছে, এবার ওই জেলাগুলোতে শীতকালেও এডিস মশার ঘনত্ব ১০-এর উপরে৷ এটা মার্চ মাসের হিসেব৷ বৃষ্টি হলে এটা দ্বিগুণ হয়ে যায়৷ এবার আগাম বৃষ্টি শুরু হয়েছে৷ ধারণা করি এখন এডিস মশার ঘনত্ব দ্বিগুণ হয়ে গেছে৷ আর যদি রোগীর সংখ্যা বিবেচনা করি, ২০২৩ সালের তুলনায় এবছরের মার্চ মাসে দ্বিগুণেরও বেশি ছিল৷ ফলে আমরা যে তথ্য-উপাত্ত পাচ্ছি তাতে ডেঙ্গু এবার অনেক প্রকট হবে৷’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গত বছর প্রথম তিন মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয় নয়জনের৷ চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ২২ জন, যা গত বছরের একই সময়ে দ্বিগুণের বেশি৷ এ বছর একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি৷ গত বছর প্রথম তিন মাসে হাসপাতালে ভর্তি রোগী ছিল ৮৪৩ জন৷ এবার প্রথম তিন মাসেই ভর্তি হয়েছে এক হাজার ৭০৫ জন৷

২০২৩ সালে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয় এবং মারা যায় এক হাজার ৭০৫ জন৷ গত বছর জুলাই-আগস্টের দিকে হঠাৎ ডেঙ্গু রোগী বেড়ে যাওয়ায় কোথাও কোথাও স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছিল৷ তখন স্যালাইনের দামও বেড়ে যায়৷ চলতি বছরে সেরকম পরিস্থিতি যাতে না হয় সেজন্য গত ৩১ মার্চ বৈঠক করেছে স্বাস্থ্যবিভাগ৷

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহঙ্গীর আলম সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘কৃত্রিম সংকট মোকাবিলা করতে চাহিদার চেয়ে বেশি স্যালাইন উৎপাদন হওয়া প্রয়োজন৷ এ কারণে উৎপাদন বাড়াতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এ ছাড়া সব হাসপাতালে এখন থেকে স্যালাইন কিনে মজুত রাখতে হবে৷ পাশাপাশি ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার (অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ) চিকিৎসার জন্য প্ল্যাজমা ও রক্তক্ষরণ প্রতিরোধী ওষুধ আমদানি করা যায় কি না, এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মত নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে৷’

 


আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০