ভাষা আন্দোলনে রংপুর


নজরুল ইসলাম হক্কানী প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪, ৫:৪২ অপরাহ্ণ / Print This Post Print This Post
ভাষা আন্দোলনে রংপুর

 

অবিভক্ত ভারতবর্ষের ইতিহাসে বৃটিশ বিরোধী সংগ্রাম আন্দোলনে রংপুরের (বৃহত্তর রংপুর) ভূমিকা ছিল গৌরবময়। ফকির সন্ন্যাস বিদ্রোহ, ১৭৮৩ সালে সূচিত রংপুরের কৃষক-প্রজাবিদ্রোহ এবং তেভাগা আন্দোলনে রংপুর জেলা অসামান্য অবদান রেখেছে। তেভাগা আন্দোলনের বিপর্যয়ের পর সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে বাংলা প্রদেশের বিভক্তি ঘটে। জন্ম হলো পাকিস্তান নামের এক বিচিত্র রাষ্ট্রের। এই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় দ্বিজাতিতত্ত্বের আড়ালে ধর্মীয় ভাবাবেগকে উস্কে দেয়া হয়েছিল। পাকিস্তান সৃষ্টির আগে ও পরে অবিভক্ত বাংলায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারান। পাকিস্তান সৃষ্টির পর সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন নেমে আসে তেভাগা আন্দোলনে সম্পৃক্ত কমিউনিস্ট পার্টির নেতা কর্মীদের ওপর। কমিউনিস্ট পার্টিকে করা হয় নিষিদ্ধ।হিন্দু সম্প্রদায়ের কমিউনিস্ট ভাবাপন্ন অধিকাংশ নেতাকর্মী ভারতে চলে যান। বাদবাকীদের থাকতে হয় আত্বগোপনে। রংপুরের ভাষা আন্দোলনে পূর্বপাকিস্তান মুসলিম আওয়ামীলীগ, মুসলিম ছাত্রলীগের পাশাপাশি আত্বগোপনে থাকা বৃহত্তর রংপুরের কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। সেই সময়কালে কমিউনিস্ট পার্টি রাশিয়া-চীনপন্থি হিসেবে বিভক্ত ছিল না। নব্বই দশকে তেভাগা আন্দোলনের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে তেভাগা আন্দোলনের কিংবদন্তীতুল্য নেতা ইলা মিত্র রংপুরের তেভাগা আন্দোলনের ইতিহাসখ্যাত ডিমলায় এসেছিলেন। ডিমলার মহাসমাবেশে তিনি বলেছিলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের অসাম্প্রদায়িক চেতনাবোধের জমিন তৈরি হয়েছিল তেভাগা আন্দোলনে। তেভাগা আন্দোলন তৈরি করা না গেলে পাকিস্তানের বর্বর রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে এতো অল্পসময়ে ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবোধের স্ফুরণ ঘটতো না।’

একটি জাতিসত্তাকে পদানত রাখতে হলে সেই দেশের ভাষা, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যকে, তার আগুয়ান যাত্রাকে নিপীড়ন করে হলেও ঠেকাতে হবে। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী ঠিক সেটাই শুরু করেছিল। পাকিস্তানের জন্ম ১৯৪৭ সালে। ১৯৪৮ সালেই পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকা এসে ঘোষণা করলেন উর্দু উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। সাথে সাথে প্রতিবাদ বিক্ষোভে নেমে আসে ছাত্রসমাজ।ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ দিন।এ দিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রাষ্টভাষা কমিটির উদ্যোগে গাজীউল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় ছাত্রসমাবেশ। উত্তপ্ত সমাবেশ প্রাঙ্গণ।

নেতৃত্বের অনেকের অভিমত,পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আরোপিত ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা ঠিক হবেনা। তাদের মত ছিল, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালানোর। সভায় বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মতিন সমবেত ছাত্রছাত্রীদের মতামত জানতে চান। সবাই সর্বসম্মত ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার পক্ষে মতামত রাখে।সিদ্ধান্ত হয়, ১০জন ১০জন করে শিক্ষার্থী’রা রাজপথে নেমে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করবে। সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে মিছিল শুরু হলে মিছিলের ওপর শুরু হয় ব্যাপক লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ। মিছিল থেকে ব্যাপকহারে শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের গুলিতে প্রাণ দিয়েছিল রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার, শফিক, অহিউল্লাহসহ আরো অনেকে। এ ঘটনায় ঢাকার সর্বস্তরের মানুষ ছাত্রসমাজ সূচিত আন্দোলনের সমর্থনে রাস্তায় নেমে আসে। ২২ ফেব্রুয়ারিতেও পুলিশের গুলিতে ঢাকার রাজপথ হয়েছিল রক্তরঞ্জিত। অনেকেই ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিল। আহত ছাত্রের মধ্যে ছিলেন আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী। তিনি হাসপাতালে অচৈতন্য অবস্থায় কাতরাচ্ছিলেন। এ অবস্থায় তিনি দেখতে পান তাঁর পায়ে মলম লাগাচ্ছেন বাংলার প্রথিতযশা ভাষাবিদ ডক্টর মুহম্মদ শহিদুল্লাহ। এ দেখে তিনি আবেগে আপ্লুত হন। লেখেন কালজয়ী ভাষার গান, ‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি।’

হত্যা, নিপীড়ন ও ষড়যন্ত্র করে সেই আন্দোলনকে দমন করা যায়নি। কলংকিত, বর্বরোচিত ঘটনার প্রতিবাদে গোটা পূর্বপাকিস্তানের মানুষ আন্দেলনে শামিল হয়। মানুষের মননে বিকশিত হতে থাকে ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবোধের চেতনা।ভাষা আন্দোলনে রংপুর জেলা শহর এবং রংপুর জেলার মহকুমা গুলোর ভূমিকা ছিল নজরকাড়া। ২১ ফেব্রুয়ারির রক্তরঞ্জিত ঢাকার রাজপথের মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞের খবর রেড়িওতে ও পরের দিন জাতীয় সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানাজানি হলে ২২ ফেব্রুয়ারি রংপুর শহর,জেলার মহকুমা শহর ও বৃহত্তর রংপুরের নানাস্থানের শিক্ষার্থী,তরুণ-যুবকসহ সকল স্তরের মানুষ ফেটে পড়ে তুমুল বিক্ষোভে। মুহুর্তেই রংপুর শহরের রাস্তা মিছিলের শহরে পরিণত হয়।কারমাইকেল কলেজসহ শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী’রা দলেদলে রাস্তায় নেমে আসে।নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে দেখার মতো। শুধু শিক্ষার্থীই নয়, গণবিক্ষোভে যোগ দেয় রিকশাচালক, দোকান কর্মচারী,ব্যাংক, অফিস আদালতের কর্মচারীসহ সাধারণ মানুষ। অভূতপূর্ব জাগরণ! মুহুর্মুহু শ্লোগান চারদিকে, “অন্যতম রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। ছাত্র হত্যার বিচার চাই।” মিছিলে অংশ নেয়া হাজারো ছাত্রজনতার ক্লান্তি দুর করতে সেদিন পূর্বপাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের নেতা নুরুল ইসলাম নিজের লেখা ও সুরারোপিত গান গেয়ে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের করেছিলেন উদ্দীপ্ত। তাঁর কন্ঠে গাওয়া গানে সবাই মিলাতো কন্ঠ, “মোরা বন্ধন মানি না শৃঙ্খল মানি না,চাই অধিকার চাই বলতে চাই চলতে।” মিছিল ছুটছিল জেলখানার দিকে। মেয়েদের এক বিশাল অংশ ছিল মিছিলের সামনে। লিচু বাগান স্কুলের ছাত্রী ও শিক্ষিকারা এ মিছিলে ছিলেন পুরোভাগ। নারীদের মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন মিলি চৌধুরী ও লিচু বাগান স্কুলের সহকারী শিক্ষক নিলুফার আহমেদ ডলি। মিলি চৌধুরী ছিলেন সবার চেয়ে লম্বা।তাঁর হাতে ছিল টিনের চোঙ্গা।টিনের চোঙ্গা দিয়ে শ্লোগান তুলতেন শ্লোগান কন্যা মিলি চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে বজ্রকন্ঠে সবাই শ্লোগান ধরতো, “রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই। নাজিম, নুরুল ভাই ভাই এক দড়িতে ফাঁসি চাই। রাজবন্দিদের মুক্তি চাই।” রংপুর জেলখানার সামনে সেদিন সৃষ্টি হয়েছিল উত্তপ্ত পরিস্থিতি।জেলখানার প্রহরীরা বন্দুক তাক করেছিল মিছিলকারীদের ওপর। নেতাদের হস্তক্ষেপে মিছিল ফিরে আসে রংপুর জজ কোর্টে। রংপুর জজ কোর্টের সামনে মিছিল ফিরে এলে শহীদ মিলি চৌধুরী, নিলুফার আহমেদ ডলি জজ সাহেবের এজলাসে ঢুকে পড়েন। জজ সাহেবের এজলাসে দাঁড়িয়ে শহীদ মিলি চৌধুরী ইংরেজি লিখতে জজ সাহেবকে বাঁধা দেন এবং তার হাত থেকে কলম কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলেন।এখানে উপস্থিত নেতারা জজ সাহেবকে কোর্ট বন্ধ রাখার অনুরোধ করেন। জজ সাহেব নেতৃবৃন্দের অনুরোধে রাখেন। এই পরিস্থিতে আদালতের কর্মকর্তা কর্মচারীরা আদালত থেকে বেরিয়ে যায়। এভাবেই গোটা শহর প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলটি ফিরে আসে ঐতিহাসিক রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে। এখানেই সেদিন অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিশাল সমাবেশ।সমাবেশ থেকে রংপুর জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন অব্যাহত রাখার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মতিউর রহমান, কাজী আব্দুল হালিম, সুফী মোতাহার হোসেন, শাহ্ আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

রংপুরের ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান করেন আওয়ামী মুসলিমলীগের রংপুর জেলা সম্পাদক আবুল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ড. মোজাহার উদ্দিন, নুরুল হক (উকিল),কাজী মহাম্মদ এহিয়া, ইয়াকুব মাহফুজ আলী, শাহ আব্দুল বারী, মাসুদাল হক ভিকু চৌধুরী, শাহ্ তেফাজ্জল হোসেন প্রধান। রংপুরের ভাষা আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন মতিউর রহমান, কাজী আব্দুল হালিম, আজিজার রহমান, মতিয়ার রহমান দুলু, সুফী মোতাহার হেসেন (বুলু),শাহ্ আব্দুর রাজ্জাক, ইসাহাক চৌধুরী, মীর আনিসুল হক পেয়ারা। ভাষা আন্দোলনে রংপুর কমিউনিস্ট পার্টি ( অবিভক্ত) ভূমিকাও ছিল উল্লেখযোগ্য। আত্মগোপনে থেকে রংপুরের ভাষা আন্দোলনে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও নেতৃত্ব দেন মনিকৃষ্ণ সেন, জীতেন দত্ত, ইদ্রিস লোহানী,নৃপেন ঘোষ,মন্টু মজুমদার, ছয়ের উদ্দিন, কসির উদ্দিন, শংকর বসু, আমজাদ হোসেন। ছাত্র নেতাদের মধ্যে মতিউর রহমান, মতিয়ার রহমান দুলু, কাজী আব্দুল হালিম, সুফি মোতাহার হোসেন বুলু, শাহ তোফাজ্জল হোসেন প্রধান গোপনে কমিউনিস্ট পার্টির সাথে যুক্ত ছিলেন।

রংপুরের ভাষা আন্দোলন সংঘটিত করার ব্রতে উদীয়মান ছাত্র নেতারা ছিলেন নুরুল ইসলাম, মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী,খন্দকার সদরুল আনাম মঞ্জু, সুফি মোহিবুল হোসেন হিরু, আমিনুল ইসলাম মনি, মকসুদ হোসেন, আমিনুল ইসলাম ফিনু, মোজাফ্ফর হোসেন প্রধান, হবিবর রহমান সেলিম, আবেদ আলী, ইসাহাক চৌধুরী, তসলিম আহমদ মনু, নাজমুল আলম হেভিন, শাহ্ তবিবর রহমান প্রধান, মানসী দাসগুপ্তা, মাসুদা চৌধুরী বুলু, নিলুফার আহমেদ ডলি, নিশাওয়াত নাহার মিলি।এঁদের মধ্যে আবেদ আলী ও ইসাহাক চৌধুরী ছাড়া বাকী সবাই কোন না কেনভাবে কমিউনিস্ট পার্টির সাথে যুক্ত ছিলেন।(তথ্য সূত্র:৫২ এর একুশের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন কমিটি রংপুর এর প্রকাশনা)

শুধু রংপুর শহরেই নয়,জেলার গাইবান্ধা, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম মহকুমা শহর রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে হয়েছিল উত্তাল। ২৫ ফেব্রুয়ারি বৃহত্তর রংপুরের মহকুমা শহরে পালিত হয় সফল সাধারণ ধর্মঘট। ২৬ ফেব্রুয়ারি রংপুর শহরসহ অন্যান্য মহকুমা শহরে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী নেতাদের ওপর নেমে আসে মুসলিমলীগ সরকারের হামলা,মামলা ও নিযাতনের নগ্ন থাবা। পুলিশের হাতে সেসময় অনেকেই গ্রেফতার হন। অনেককেই আত্মগোপনে চলে যান গ্রামে। আত্মগোপনে যারা ছিলন তাঁরা কৃষকের মধ্যে কাজ শুরু করেন। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে ভাষার সংগ্রাম নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করে। নিপীড়ন, নির্যাতন করেও আন্দোলন থামানো যায়নি। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীকে শেষ পর্যন্ত ১৯৫৬ সালে বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি দিতে হয়েছিল। যেখানে আমাদের ভাষাশহীদরা প্রাণ দিয়েছিলেন সেখানে এখন প্রিয় শহীদ মিনার। প্রাণের স্মারক স্মৃতি শহীদ মিনার এখন গোটা দেশেই স্থাপিত হয়েছে,আর ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়,বর্তমানে সারা পৃথিবীর সকল ভাষাভাষী মানুষের জন্য “আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস”।

রংপুরের ভাষা আন্দোলনে যারা যুক্ত ছিলেন তাঁদের প্রায় সবাই প্রয়াত হয়েছেন। আমরা পারিনি রংপুরের ভাষা সৈনিকদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে। নতুন প্রজন্মের মাঝে রংপুরের ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ভাষাসৈনিকদের কাঙ্খিত আদর্শ ও লক্ষ্য কি ছিল- তা উন্মোচন করা যায়নি । মনে রাখা জরুরি বৃহত্তর রংপুরের ভাষা আন্দোলনে কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ থাকলেও তারাই অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন। সে ইতিহাস এখনো অধরাই থেকে গেছে। রংপুরের ভাষা সৈনিকদের দেয়া হয়নি মরণোত্তর সম্মাননা। এই মহতি কাজটি শুরু করেছিলেন ভাষাসৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আফজাল, সেই ২০০২ সালে। তাঁর অসুস্থতার কারণে এগিয়ে নেয়া যায়নি কাজটি। নতুন প্রজন্মকে সঠিক পথে উদ্বুদ্ধ করতে রংপুরের ভাষা আন্দোলনের গবেষণার কাজট খুবই জরুরি।

লেখক : পলিটব্যুরো সদস্য, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।


আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯