সমন্বিত মাছের সাথে তরমুজ চাষে স্বাবলম্বী মনিরুল


সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৪, ২০২২, ২:৫৯ অপরাহ্ণ / Print This Post Print This Post
সমন্বিত মাছের সাথে তরমুজ চাষে স্বাবলম্বী মনিরুল

পটুয়াখালীর পাশের জেলা বরগুণার আমতলী উপজেলা আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড দরিকাঠা গ্রামের নসা হাওলাদার বাড়ির মো. মনিরুল ইসলাম হাওলাদার (৪৫) সমন্বিত মাছ ও তরমুজ চাষ করে আজ স্বাবলম্বী।

মনিরুল ইসলাম হচ্ছেন নাসিরউদ্দিন হাওলাদার ওরফে নসা হাওলাদারের ছেলে। কৃষিকাজই তাদের একমাত্র আয়ের উৎস্য। মানুষের সাথে দিনভর কাজ করে করে তারা তাদের জীবন পরিচালনা করতেন এক সময়। এখন তারা নিজেরাই ক্রয় করা জমিতে কৃষি ব্যাংকের ঋণ নিয়ে মাছের পাশাপাশি তরমুজ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। ‘ক্ষেত থেকে শত শত তরমুজ বিক্রি হচ্ছে, রং বেরঙের সুস্বাদু তরমুজ। লাভজনক হওয়ায় দিন দিন খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তরমুজ চাষ।’ কথাগুলো বলছিলেন মনিরুল ইসলাম।

তিনি আরো বলেন, এক সময় আমরা মানুষের সাথে কাজ করতাম। ধীরে ধীরে আমরা কষ্ট করে টাকা জমিয়ে এনজামাল, মো. আনোয়ার, নজরুল ইসলাম, আবদুর রশিদ, হালিমা বেগম, আ. রশিদ মাতব্বরের কাছ থেকে ২২ শতাংশ ৫৮ পয়েন্ট জমি ক্রয় করি। যার মৌজা আঠারোগাছিয়া, জে.এল নম্বর ২০, খতিয়ান নম্বর ১৯, দাগ নম্বর ২০৭৬, ২১২০, ২১২৬, ২১২৭, ২১২৮। পাশাপাশি অন্য মানুষের কাছ থেকে একসোনা কিছু জমি নেই। আর সেই জমিতেই মাছ চাষের পাশাপাশি তরমুজ চাষ করে আল্লাহ আমাকে দু’হাত ভরে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে একই গ্রামের মো. আফছের উদ্দিন মাওলানা, মো. তোতা মৃধা, মো. হোসেন গাজী, ইসমাইল চৌকিদার, শাহানুর মেলকার বলেন, অনেক কষ্ট করে চলত মনিরের সংসার। সে রিশ্রম করে এই জমি চাষ করে ও অনেক ভালো আছে। আল্লাহ ওর মঙ্গল করুক। তারা আরো বলেন আমাদের গ্রামের বেকার যুবকরাও যদি মনিরের মত পরিশ্রম করে তাহলে তারাও স্বাবলম্বী হতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস।


আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০