বনানী থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছাত্রলীগের সভাপতি হত্যা মামলার প্রধান আসামি


বনানী (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৮, ২০২৪, ৭:৩৯ অপরাহ্ণ / Print This Post Print This Post
বনানী থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছাত্রলীগের সভাপতি হত্যা মামলার প্রধান আসামি

ঢাকা মহানগর উত্তরের বনানী থানা শ্রমিক লীগের কমিটি নিয়ে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। বনানী থানা শ্রমিক লীগের কমিটি নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চলছেই। এবার বনানী থানা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়গা পেয়েছেন আলোচিত বনানী থানার অন্তর্গত ১৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি তানজিল হোসেন রাকিব হত্যার প্রধান আসামি মোঃ শফিকুল ইসলাম সজীব। এনিয়ে নিহত রাকিব হোসেন সহ এলাকার বিভিন্ন মহলের মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে বনানী থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি পি.কে নিপুণ বলেন, আমাদের দল ক্ষমতায় থাকাকালীন আমাদের সহকর্মী রাকিব হোসেন হত্যা মামলার বিচার এখনো সম্পন্ন হয়নি বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আবার তার হত্যার প্রধান আসামিকে বনানী থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ দেওয়া হয়েছে ব্যাপারটা মেনে নেওয়ার মতো না।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত মঙ্গলবার (০৬ জানুয়ারি) জাতীয় শ্রমিক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর এর সভাপতি মোঃ বরকত খাঁন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ কালু শেখ স্বাক্ষরিত ৬৫ সদস্য বিশিষ্ট বনানী থানা শ্রমিক লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা প্রকাশ করে। জাতীয় শ্রমিক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর। তালিকায় সভাপতি মোঃ জুয়েল সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ওরফে সজীব এর নাম উল্লেখ করা হয়।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, রাজনীতির অন্তরালে আধিপত্য বিস্তার করতে গত (০৭ ডিসেম্বর ২০১৮) সাবেক যুবদলের একনিষ্ঠ কর্মী মোঃ শফিকুল ইসলাম সজিব অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে সেচ্ছাসেবকলীগ এর রাজনীতিতে সষ্ক্রিয় হয়ে নিজের রাজনৈতিক আধিপত্য গড়তে তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে হত্যার নীল ছক আঁকে তার অঙ্কিত ছক অনুযায়ী নিজেই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের এজাহার ভুক্ত প্রধান আসামি সজিবকে ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি গাজিপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দীর্ঘদিন কারাভোগ করে জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে পূর্বের ন্যায় তার কর্মকান্ড শুরু করে।

এদিকে সদ্য ঘোষিত বনানী থানা শ্রমিক লীগের কমিটি নিয়ে জনমনে বিতর্ক সৃষ্টি হয়ে একে তো ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামিকে সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া সেই হত্যা মামলার আসামি শফিকুল ইসলাম সজীবকে
১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মফিজুর রহমান মফিজের সাথে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে দেখা। জানা গেছে, কাউন্সিলরের ছত্রছায়ায় সজীব বর্তমানে অধিপত্য বিস্তার করছে। সেই কাউন্সিলরের মদদে সজীব কড়াইল বস্তিতে চাঁদাবাজিও করে। এনিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

অন্যদিকে, গত ২০ অক্টোবর ২০২৩ইং এক বছরের জন্য অনুমোদন দিয়ে মোঃ মিজানুর রহমান মিলন (মোল্লা)’কে সভাপতি ও মোঃ ফরিদ খাঁনকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে আরেকটি তালিকা প্রকাশ হয়েছিল জাতীয় শ্রমিক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের প্যাডে। ফরিদ খাঁনও বনানী থানায় ধর্ষণ মামলার আসামি। সেই কমিটির এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই আবার নতুন কমিটি। তাহলে কোন আদেশ আসল আর কোন আদেশ নকল তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিভ্রান্তি।


আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০