ফের বিএসএমএমইউতে উত্তেজনা, বিদায়ী ভিসির পিএসকে মারধর


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় : মার্চ ২৩, ২০২৪, ৪:১২ অপরাহ্ণ / Print This Post Print This Post
ফের বিএসএমএমইউতে উত্তেজনা, বিদায়ী ভিসির পিএসকে মারধর

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নতুন উপাচার্য নিয়োগ ও বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের বিদায়কে কেন্দ্র করে ফের উত্তেজনা বিরাজ করছে । উপাচার্যকে নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করা এবং কয়েক দফা সংঘর্ষের পর এবার উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী ও সুপার স্পেশালাইজডের এক কর্মকর্তাকে মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।

শনিবার (২৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এসব ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল থেকে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে শরফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ও বিক্ষোভ করেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) একাংশেত শিক্ষকরা। এ সময় উপাচার্যের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আন্দোলনে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়টির নার্স ও কর্মকর্তা-কার্মচারীও অংশ নেন।

আন্দোলনকারীরা একপর্যায়ে শরফুদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) ডা. রাসেল আহমেদকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে উপাচার্যে কক্ষ থেকে বের করে দেন। একই ঘটনা ঘটে বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের এক কর্মকতার সাথেও। শাখা থেকেও একজনকে মারধর করে বের করে দেওয়ার খবর পাওয়া যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, বিক্ষোভের এক পর্যায়ে‌ আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের সহযোগী রাসেলকে তিন তলা থে‌কে মার‌তে মার‌তে নিচতলায় নি‌য়ে আসেন এবং তাকে বের করে দেন। একই পরিস্থিতিত মুখোমুখি হন সুপার স্পেশালাইজ‌ডের ই‌ডি রসুল আমিন‌।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতাদের একাংশের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম না মেনে গত তিন বছরে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ বিভিন্ন পদে প্রায় দুই হাজার এডহকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ পাওয়া এসব ব্যক্তির চাকরি স্থায়ীকরণ করতে আবার নিয়ম ভাঙছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ীকরণ কমিটির মতামত না নিয়ে তড়িঘড়ি করে স্থায়ীকরণের জন্য ভাইভা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। একইসাথে সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে সকল কাজের বৈধতা নিশ্চিতের চেষ্টারও অভিযোগ তাদের।

মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক শরফুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, সিন্ডিকেট সভা বসার সিদ্ধান্তটা আগে নেওয়া হয়েছে। এখন যারা বিরোধিতা করছে তারা কেউ আমার কাছে আসেনি। আজ তারা কয়েকজনকে মারধর করেছে, আমি বিষয়টা শুনেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলব।


আর্কাইভ