অশান্ত সময় ১৯৬৪এর ১৮ অক্টোবরে
উৎকণ্ঠা আর শঙ্কায় সবাই আছেন অন্ত পুরে
ঘর আলো করে উচ্চ রবে জানান দিল
“এসেছি ধরা পরে ”
আনন্দ ধ্বনি বাজলো তার আগমনী সুরে।
হাটি-হাটি, পা-পা,হামাগুড়ি দিয়ে
ছোট্ট শিশু উঠলো বেড়ে সবার আদরে।
হঠাৎ করে “হাউ- মাউ- খাও,মানুষের গন্ধ পাও”
রাক্ষস তাদের নজরবন্দী করলো একাত্তরে।
রাজা ও তখন বন্দী অন্ধ গুহা ঘরে।
রাজ্য জুড়ে হানাহানি আর কত রক্ত
দীর্ঘ নয় মাস পর দেশ হলো মুক্ত।
স্বাধীন দেশের সবুজ ঘাসে পা দুলিয়ে চলে
মাছ ধরতে আগ্রহ বেশি ধরে আর ছাড়ে
সকাল -বিকাল ঘোরে প্রিয় বাইসাইকেলে।
কবুতরের খাবার দেয়,টমির সাথে খেলে।
রাজার সাথে ঘুরে বেড়ায় দেশ- দেশান্তরে
উন্নতশির, তীক্ষ্ণদৃষ্টি সবার নজর কাড়ে।
৭৫ এ আবার এল সেই দানবের দল
ছাড়ল না কাউকে তারা এবার আর।
ছোট্ট শিশুর কি দোষ ছিল, মারলো কেন তারে
হাসি – খুশি রাজপুত্তুর রইলো না সংসারে।
ছোট্ট সেই চিরশিশু”শেখ রাসেল” নাম
সোনার বাংলা রাসেলের ত্যাগের দেবে দাম।
অমর হয়ে আছে সে সবার অন্তরে
শ্রদ্ধা জানাই মানবতার প্রতীকী শিশু
শেখ রাসেলের তরে।
আপনার মতামত লিখুন :