ভোর
পশ্চিমের জানলা খুলে রাখি ভোরে
মায়ের প্রার্থনা আকাশ মুখি
কোরানের আয়াত, জল এনে দেয় চোখে
মদির প্লাবন ঢুকে যায় এই ভাঙা ঘরদোরে।
মক্তব এতই কাছে
কর্ণকুহরে তীর হয়ে গেঁথে যায় আলিফ-লাম-মিম
লাঙ্গল হাতে বৃদ্ধ কৃষক, শিশিরে ভেজানো পা
মৃদু কম্পনে দুলে ওঠে আমাদের রঙিন পর্দা
উনুন জ্বলছে অল্প আঁচে।
আমার মায়ের প্রার্থনায় নেমে আসে আলো
ধুসর আকাশ ফিরে পায় তার বাহারি রঙ
মক্তব ছুটি, ছুটে শিশুদের কোলাহল
উচ্চারিত-
কালেমায়ে তাইয়্যেবাহ।
মায়াবী আহ্বান
অস্থির এই অন্ধকার,
সিগ্রেটের আলোও মরে গেছে।
দূরাগত কোনো ঝোপঝাড় থেকে
ধেয়ে আসছে, করুণ মায়াবী আহ্বান যেন।
কোথায় ডেকে নিয়ে যাবে, কে জানে!
শুধু জানি, বসে আছি একটা শূন্যের বিন্দু ছুঁয়ে
উড়ে যাবো, ভেসে যাবো মুহুর্তেই। ফিরবো না।
ছলনাময়ী এই আঁধার ছেড়ে যাবে নির্ঘাত,
চোখের কাছে এসে নত হবে ভোরের আলো,
পরিযায়ী পাখি এসে নিয়ে যাবে আমায়!
যদি গভীর রাতে ফিরতে হয় তোমাকে আমার
কবরের পাশ দিয়ে, ভয়ের বাতাসে খাড়া হবে লোম।
জেনো, তোমাকে পরোয়া করবোনা আমি-
মৃতদের কবরস্থান, আঁধারেও যেমন,
আলোতে তেমন। বুকে হিম্মত রেখ। নিকটে মৃত্যু!
সন্ধ্যা
এইসব নির্জনতা, ঝরনার থেকে নেমে আসা
স্বচ্ছ জল, পশ্চিমে হেলে যাওয়া
সূর্যের শেষ আলো টুকু, তোমাকে ভাবায়।
বনের মধ্যে হরিণের চামড়া ফুটো হয়ে
নিথর পড়ে থাকার মতোই নীরবে শুইয়া
থাকি, এই সবুজ রঙের ঘাষে, অহেতুক।
আদন, মাগরিবের আজান ধেয়ে আসছে
তোমার পাড়ার মসজিদ থেকে-
থামিয়ে দাও গান,”সন্ধ্যা বাত্তি ন’জ্বলাইলে
ঘরগান অইবো অন্ধকার”।
SK24/SMK/DESK
আপনার মতামত লিখুন :