জাকাতের টাকা হাদিয়া বলে দেওয়া যাবে?


ধর্ম ডেস্ক প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩, ১২:০৮ অপরাহ্ণ / Print This Post Print This Post
জাকাতের টাকা হাদিয়া বলে দেওয়া যাবে?

জাকাত বলতে ধন-সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ দান করাকে বোঝায়। পারিভাষিক অর্থে জাকাত হলো, নিসাবধারীর ধন-মাল, জমির ফসল ও খনিজ সম্পদের ওপর ইসলামি শরিয়ত নির্ধারিত অংশ নির্দিষ্ট খাতে ব্যয় করা। আল্লাহ তায়ালা জাকাত ব্যয়ের খাতগুলো সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন। গরিব-দুঃখীর স্বার্থের প্রতি খেয়াল রেখেই জাকাতের খাতগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে।

জাকাতের সম্পদ ব্যয়ের খাত মোট আটটি। খাতগুলো হলো-

  • গরিব-ফকির— যাদের নেসাব পরিমাণ সম্পদ নেই।
  • মিসকিন— যাদের কোনো সম্পদ নেই।
  • ইসলামি রাষ্ট্রের সরকারকর্তৃক জাকাত, সদকা, ওশর ইত্যাদি উসুল করার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি।
  • ইসলামের দিকে ধাবিত করার জন্য জাকাত দেওয়া। তবে এ খাতটি বর্তমানে আর প্রযোজ্য নয়।
  •  নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের বিনিময়ে স্বাধীন হওয়ার চুক্তিতে আবদ্ধ দাস-দাসী।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ মাল না থাকার দরুণ ঋণ পরিশোধে অক্ষম ঋণী ব্যক্তি।
  • যোদ্ধা, যারা যুদ্ধের অস্ত্র যোগাতে অক্ষম অথবা টাকার কারণে হজের কাজ পূর্ণ করতে অক্ষম বা ইলম হাসিল ও দ্বিনি দাওয়াতের কাজে নিয়োজিত গরিব মানুষ।
  • সফর অবস্থায় অভাবগ্রস্ত মানুষ।

জাকাতের সম্পদ নেওয়ার উপযুক্ত কোনো ব্যক্তি যদি জাকাত নিতে না চান। অর্থাৎ, জাকাতের কথা উল্লেখ করার কারণে যদি কেউ না নিতে অনীহা প্রকাশ করেন, তাহলে তাকে তা হাদিয়া বলে দেওয়া যাবে। যেকেউ যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত হলে তাকে জাকাতের নিয়তে জাকাতের টাকা হাদিয়া বলে দিলেও জাকাত আদায় হয়ে যাবে। (ফাতাওয়া সিরাজিয়া, পৃ. ২৮; ফাতহুল কাদীর ২/২০৯; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৪/৮৬; আলবাহরুর রায়েক ২/২১২; মাজমাউল আনহুর ১/২৯০)


আর্কাইভ